অবশেষে ফাঁসি হয়ে গেল নির্ভয়ার চার ধর্ষক-হত্যাকারীর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: মধ্যরাত থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে। রাজধানীতে আলো ফোটার আগে তিহাড় জেলের সামনে উপস্থিত জনতার একটাই চোখেমুখে একটাই প্রশ্ন – ‘কখন ফাঁসি কার্যকরের খবরটা আসবে?’ তবে তিহাড়ের সামনে শুধু যাঁরা উপস্থিত জনতার নয়, সারাদেশেই ফাঁসি কার্যকরের মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছিল। ভোর ৫টা ৩৩ মিনিট নাগাদ নির্ভয়াকাণ্ডে চার দণ্ডিতের ফাঁসির খবর চাউর হতেই খুশির হাওয়া আমজনতার মধ্যে। আর লড়াই শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন নির্ভয়ার বাবা-মা।

আরও পড়ুন: সুপ্রিম নির্দেশে বিকেল ৫টার মধ্যে আস্থাভোট মধ্যপ্রদেশে, আগামিকালই ভাগ্য নির্ধারণ কমল নাথের

দীর্ঘ টালবাহানার শেষে চতুর্থ বারের জন্য ঘোষণা হয়েছিল ফাঁসির তারিখ। এর আগে যেভাবে তিন-তিন বার ফাঁসির তারিখ পিছিয়েছে, তাতে সন্দেহ ছিল এই বারও ফাঁসি হবে কিনা। আশঙ্কা ছিল, ফের কোনও আইনি ফাঁক বার করে সুযোগ নিতে পারে অপরাধীরা। সে চেষ্টাও চলেছিল বিস্তর। ফাঁসির দু’দিন আগে থেকেই শুরু হয় একের পর এক আবেদন। এমনকি ফাঁসির ঠিক আগের রাতেও মাঝরাত থেকে শুরু হয় মহানাটক। কিন্তু উত্তেজনার পারা চড়িয়েও, শেষমেশ কোনও অপ্রত্যাশিত রায় আসেনি আদালতের তরফে। নির্ধারিত সময় ও সূচি মেনেই ফাঁসির জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়। ফাঁসি হয়েও যায় ঠিক সময়ে।

এই মামলায় মোট অপরাধী ৬ জন। বিচার চলাকালীন তিহাড় জেলেই আত্মহত্যা করে এক অপরাধী রাম সিংহ। নাবালক হওয়ায়, তিন বছর হোমে থেকেই সাজার মেয়াদ শেষ করে, ২০১৫ সালে মুক্তি মেলে আর এক অভিযুক্তের। যদিও পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছিল, নির্ভয়ায় উপর সেই রাতে সবচেয়ে নির্মম ভাবে অত্যাচার চালিয়েছিল এই নাবালকই।

আরও পড়ুন:  রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জনতা কারফিউয়ের ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে, দিল্লির রাস্তায় চলন্ত বাসের মধ্যে গণধর্ষণ এবং ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হন প্যারামেডিক্যালের ছাত্রী, বছর ২৩-এর তরুণী। বাধা দিতে গিয়ে প্রচণ্ড মারধর খেতে হয় তাঁর পুরুষ সঙ্গীকেও। ঘটনার পৈশাচিকতায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। তরুণীর আসল নাম পরে প্রকাশ্যে এলেও, নির্ভয়া নামেই তিনি পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন তত দিনে। শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি নির্ভয়াকে। নির্মম অত্যাচারের ১৩ দিন পর, ২৯ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।

প্রতিবাদের আগুন জ্বলে ওঠে সারা দেশে। ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছিল অপরাধীরা। তৈরি হয়েছিল চার্জশিটও। বিচার পেতে গড়িয়ে গেল এতগুলো বছর। চরম যন্ত্রণায় মারা যাওয়া এবং মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত দাঁতে দাঁত চেপে দোষীদের বর্ণনা দিয়ে যাওয়া তরুণী নির্ভয়া বিচার পেলেন আজ।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest