করোনা চিকিৎসায় কড়া পদক্ষেপ স্বাস্থ্য কমিশনের। কোনভাবেই অতিরিক্ত বেড ভাড়া ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের ভাড়া নিতে পারবে না বেসরকারি হাসপাতালগুলি। পয়লা মার্চ পর্যন্ত যে নির্দিষ্ট ভাড়া স্থির ছিল সেই ভাড়া নিতে হবে হাসপাতালগুলিকে। যে সকল হাসপাতাল ভাড়া বাড়িয়েছে তা কমিয়ে পুরনো ভাড়া নিতে হবে। স্বাস্থ্য কমিশনের বৈঠকে এমনই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে করোনা রোগীর বিবিধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে বিলের পরিমাণ। অনেক ক্ষেত্রেই সেই অংক হয়ে উঠছে লাগাম ছাড়া। এদিনের বৈঠকে এই ইস্যুতে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটির স্থির করে দেবে কোন কোন রোগের কী কী পরীক্ষা হবে এবং কতবার পরীক্ষা হবে। এই নির্দেশের বাইরে গিয়ে কোন হাসপাতালেই রোগীর অতিরিক্ত পরীক্ষা করাতে পারবে না। ফলে বিল বৃদ্ধির পরিমাণ কমে যাবে।
আরও পড়ুন : অতিমারিতে তবলিগি জামাতদের, ‘বলির পাঁঠা’ করেছে সরকার, মন্তব্য আদালতের
এছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম ছাড় দেওয়ার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য কমিশন। এছাড়া করোনা চিকিৎসায় এর আগে সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা ভিজিট নিতে পারতেন চিকিৎসকরা। আশঙ্কাজনক রোগীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা ভিজিটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য কমিশনের বৈঠকে।
করোনা চিকিৎসায় স্বাস্থ্য কমিশন নির্দিষ্ট করল গাইডলাইন
বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল কোন চিকিৎসা নিয়ে। কোথাও অত্যাধিক বিল করা, আবার কোথাও ভর্তি না নেওয়া। সমস্যা সমাধানে শনিবার স্বাস্থ্য কমিশন। বৈঠকের পর কমিশনের প্রধান অসীম ব্যানার্জি জানিয়েছেন, কোন অবস্থাতেই রোগীকে ফেরানো যাবে না ।
অগ্রিম টাকা জমা না দিলে চিকিৎসা করতে হবে। বেড চার্জ দিতে হবে পয়লা মার্চের হিসেব অনুযায়ী। চিকিৎসকদের ভিজিট 1000 টাকা। তবে কোন ক্রিটিক্যাল রোগীকে কোন পথিক বর দেখতে যান ডাক্তার হবে 2000 টাকা। এই বিধিনিষেধ না মানলে হাসপাতালের বিরুদ্ধে করার ব্যবস্থার ইঙ্গিত কমিশনের।
আরও পড়ুন : বেআইনি ভাবে পুলিশের অনুপস্থিতিতেই ভাঙা হয় সুশান্তের ঘরের দরজা, তদন্তে উঠে এল নয়া তথ্য