ভোপাল: যেমনটা ভাবা হয়েছিল, কার্যত ঠিক সেরকম পথেই এগোচ্ছে মধ্যপ্রদেশের নাটক। কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের পর আরও একটি রাজ্যের ক্ষমতায় কে থাকবে, তা নিয়ে টালবাহানা সুপ্রিম কোর্টে গেল।
২২ কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফার পর, মধ্যপ্রদেশে আস্থা ভোটের দাবি তুলেছিল বিজেপি। সোমবার আস্থাভোট করার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল লালজি টন্ডনও। মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক টানাপড়েন নিয়ে কংগ্রেস শিবিরে আশঙ্কার মেঘ যখন ঘনিয়ে উঠছে ঠিক তখনই নাটকীয় মোড় নিল পরিস্থিতি। মধ্যপ্রদেশে কমল নাথের ত্রাতা হয়ে উঠল করোনাভাইরাস-ই। এ দিন বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই, করোনাভাইরাস ইস্যুটি তুলে ধরেন রাজ্যের মন্ত্রী গোবিন্দ সিংহ। পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক তা জানাতে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকার কথাও বলেন গোবিন্দ। তাঁর প্রস্তাব লুফে নেন স্পিকার। আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত তা স্থগিত করে দেন স্পিকার নর্মদাপ্রসাদ প্রজাপতি। আর সেই কৌশলেই আপাতত স্বস্তি ফিরেছে কমল নাথ শিবিরে। তবে কংগ্রেসের পথে নতুন করে কাঁটা ছড়িয়ে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: করোনা-সতর্কতা: পুরভোট পিছিয়ে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ আগেই বলেছিলেন, ‘রাজ্যপালের সংবিধান মেনে চলা উচিত। তাঁর কার্যকলাপও সংবিধানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত।’ সোমবার বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপাল বলেন, ‘সবার সংবিধানের নিয়ম মেনে চলা উচিত যাতে মধ্যপ্রদেশের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকে।’ তাঁর এই বক্তব্যের পরই কংগ্রেস রাজ্যপালের উদ্দেশে স্লোগান শুরু করে। ‘অধিবেশন কক্ষের মর্যাদা করুন’ – কংগ্রেস বিধায়কদের এই স্লোগানের মধ্যেই অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্ক! ব্যালটে পুরভোট আয়োজন করতে চায় নির্বাচন কমিশন
কমল নাথ এখন ৯৯ বিধায়ক নিয়ে সংখ্যালঘু সরকার চালাচ্ছেন। যার মধ্যে কংগ্রেসের বিধায়ক রয়েছে মাত্র ৯২। ৩১ মার্চের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। কারণ, এ দিনের মধ্যে বাজেট পেশ করতে হবে।
(আপনার আশপাশের পরিবর্তনের অংশ হতে চান? আমাদের খবর পাঠান ইমেল্ ও হোয়াটআপের মাধ্যমে)