হত ওসামাপুত্র হামজা বিন লাদেন, দাবি মার্কিন গোয়েন্দাদের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#ওয়াশিংটন: মৃত ওসামা বিন লাদেনের পুত্র হামজা। এমনটাই দাবি মার্কিন ইন্টেলিজেন্স আধিকারিকদের। হামজার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন চ্যানেল এনবিসি নিউজ। গোয়েন্দারা হামজার মৃত্যুর খবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানিয়েছেন। তবে কীভাবে, কোথায় হামজার মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে মার্কিন প্রশাসন। তবে লাদেনপুত্রর মৃত্যুর পিছনে আমেরিকার হাত রয়েছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। এবং যদি তা হয়ে থাকে তবে তা ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে বড়সড় সাফল্য।

১৯৮৯ সালে সৌদি আরবের জেড্ডায় জন্ম হামজ়ার। ওসামা এবং তার আর এক ছেলে পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে মার্কিন নেভি সিলের হাতে নিহত হওয়ার পরে আল কায়দার নেতা নির্বাচিত হয় আয়মান আল জাওয়াহিরি। এই জাওয়াহিরিই ২০১৫ সালে এক অডিয়ো বার্তায় হামজ়াকে আল কায়দার ‘অন্যতম প্রধান নেতা’ বলে ঘোষণা করে। হামজ়ার বয়স তখন ২৬। আল কায়দার আর এক শীর্ষ নেতা আবদুল্লা আহমেদ আবদুল্লার মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ের কথাও প্রকাশ্যে আসে। ২০১৫ থেকে ২০১৮ একাধিক ভিডিয়ো ও অডিয়ো বার্তায় তরুণদের ওসামার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পশ্চিমি দুনিয়ায় হামলা চালানোর জন্য বার্তা দিত হামজ়া।

হামজ়াকে শেষ বারের মতো প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল গত বছরের মাঝামাঝি। একটি ভিডিয়ো বার্তায় সে সৌদি আরবকে হুমকি দেয়, আমেরিকার সঙ্গে হাত মেলালে তার মাশুল দিতে হবে তাদের। সৌদি রাজপরিবারকেও হুঁশিয়ারি দেয় সে। ২০১৮-র মার্চ মাসে আমেরিকা ঘোষণা করে, হামজ়ার মাথার দাম দশ লক্ষ ডলার। তখন ওসামা-পুত্রের নাগরিকত্ব খারিজ করে দেয় সৌদি আরব। আর তার পরেই সৌদি আরবকে হুমকি দিয়ে ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ করে হামজ়া। কিন্তু তার পরে আর প্রকাশ্যে আসেনি। সে কোথায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে, জানা যায়নি। তবে মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনী এফবিআই-এর ধারণা ছিল, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইরানেই ঘোরাফেরা করত হামজ়া।

২০০৯ সালে মার্কিন ড্রোন হানায় ওসামার বড় ছেলে সাদের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে হামজারই আল কায়দার মাথায় বসার কথা ছিল। অ্যাবোটাবাদে গোপন ডেরায় ঘাঁটি গেড়ে ওসামাই নাকি হামজাকে পরবর্তী আল কায়দা প্রধান হওয়ার জন্য তৈরি করছিলেন। জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেতেই ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হামজাকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা দেয়। বৃহস্পতিবার তার মৃত্যুর খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হতেই নড়েচড়ে বসেছে বিশ্বের তাবড় দেশগুলি। যদিও তার মৃত্যু নিয়ে খোলসা করছে না পেন্টাগন।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest