Site icon The News Nest

ফের হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি, বউবাজারে বহু বাড়িতে দেখা দিল ফাটল, আতঙ্ক এলাকায়

bou

কলকাতা: বাড়ি ভাঙার বিরাম নেই বউবাজারে। মঙ্গলবার দুর্গা পিতুরি লেনের পর এ বার স্যাঁকরাপাড়া লেন। বুধবার সকালে ভেঙে পড়ল ৯ নম্বর স্যাঁকরাপাড়া লেনের একটি দোতলা বাড়ির একাংশ। তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।

এ দিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ ৯ নং সেকরা পাড়া লেনের একটি দোতলা বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ওই বাড়ির বাসিন্দা চিরঞ্জিত্ সেন বলেন, “এ দিন সকালে যখন পাড়ার গলির সামনে আসি তখন জানতে  পারি আমাদের বাড়িটা ভেঙে পড়েছে। কয়েক দিন হল গোটা পরিবারকে নিয়ে চাঁদনি চকের একটি হোটেলে আমরা উঠেছি। প্রতি দিনই সকালে এক বার করে আসি এলাকাটা দেখতে। কিন্তু আমার বাড়ি ভেঙে পড়বে ভাবতে পারিনি। বাড়ির ভিতরে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র রয়েছে। শখের ৬০-৭০টি পাখি রয়েছে। মনে হয়ে ওরা বেঁচে নেই।” মা, বোন, ঠাকুরদা এবং চারটে কুকুর নিয়ে চাঁদনি চকের ওই হোটেলে রয়েছেন চিরঞ্জিত্। তাঁর মতোই কলকাতার সাতটি হোটেল প্রায় ৪০০ জন রয়েছেন। হাইকোর্টের নির্দেশে ওই বাসিন্দাদের পরিবারের এক জন করে নিজেদের বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি মিলেছে ঠিকই। কিন্তু তাঁরা জানাচ্ছেন এমন ভয়ানক পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে এলাকায় যে তাঁরা বাড়িতে ঢুকতেই ভয় পাচ্ছেন।

মঙ্গলবার বিকেল থেকেই ফাটল দেখা দিয়েছিল স্যাঁকরাপাড়া লাগোয়া হিদারাম ব্যানার্জি লেন ও গৌর দে লেনের একাধিক বাড়িতে। সেই সব ফাটল চিহ্নিত করে মার্ক করে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। গৌর দে লেনের বস্তিবাসীদের অন্যত্র সরানো হয়েছে।

বউবাজারের নীচে টানেল বোরিং মেশিন ঢোকানোর আগেই এলাকার বেশ কিছু দুর্বল বাড়ি চিহ্নিত করে সেগুলিতে লোহার খাঁচার সাপোর্ট দিয়েছিল কেএমআরসিএল। কিন্তু সমস্যা হল যে সাপোর্ট মাটির ওপর দেওয়া হয়েছে সেই মাটিই বসে গিয়েছে। তাই আলগা হয়ে গিয়েছে সাপোর্ট। তাই একের পর এক বাড়িতে প্রথমে ফাটল ও তার পর সেই বাড়ি ভেঙে পড়ছে।

এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের প্রশ্ন আগে থেকে ভালো করে যাচাই করে নিয়ে টানেলের কাজ শুরু করলে এই ধরনের ঘটনা কি এড়ানো যেত না?

Exit mobile version