ভ্যাকসিন ছাড়া করোনা রোখা অসম্ভব, সাফ জানিয়ে দিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: করোনা ভাইরাস মহামারি রোখার এবং বিশ্বকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানোর একমাত্র উপায় এর প্রতিষেধক আবিষ্কার। করোনার টিকা আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত পৃথিবীকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানো যাবে না। এমনটাই আশঙ্কা করছে রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলছেন, একমাত্র টিকা আবিষ্কার হলেই রোখা যাবে এই অতিমারি। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে বিশ্ব।

আরও পড়ুন: Lockdown 2.0: খিদে মেটাতে শ্মশানের ‘পচা’ কলা খাচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকরা

বুধবার আফ্রিকার ৫০টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে করোনা নিয়ে আলোচনা করছিলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব। সেখানে তিনি বলেন, “মানুষের জন্য পুরোপুরি সুরক্ষিত ও নিরাপদ কোনও প্রতিষেধকই পৃথিবীকে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনতে পারবে। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচবে, আর হাজার হাজার কোটি অর্থ বাঁচবে।” রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বলছেন, করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে জিততে হলে বিশ্বের সব দেশের রাষ্ট্রনেতা, শিল্পপতিদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। গবেষণার জন্য তহবিল গড়তে হবে। ২০২০ সালের মধ্যে যদি এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করা যায়, তবেই মহামারি এবং আর্থিক ক্ষতি থেকে বিশ্বকে বাঁচানো যাবে।

গুতেরেস ২৫ মার্চ ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের জন্য আবেদন করেছিলেন। যার মাত্র ২০ শতাংশ এখনও পর্যন্ত তহবিলে জমা পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাহায্যে আফ্রিকার ৪৭টি দেশে করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। রাস্ট্রসংঘের মহাসচিব করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রশংসাও করেছেন। তিনি জানিয়েছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নামিবিয়া রোজগারহীনদের জন্য আয়ের পথ খুলে দিয়েছে। কেপ ভারদে খাদ্যাভাব মিটিয়েছে এবং মিশর শুল্ক কমিয়েছে।

আরও পড়ুন: লকডাউনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে? টাকা পাঠাবে রাজ্য সরকার

রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে আগেই বলা হয়েছিল, করোনাভাইরাস মহামারীর জেরে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি হবে হাজার হাজার কোটি ডলার। এর ফলে সবচেয়ে বিপদে পড়বে উন্নতিশীল রাষ্ট্রগুলি। বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ মানুষই বাস করেন উন্নতিশীল দেশগুলোয়। এই জটিলতার মোকাবিলা করা যাবে যদি গোটা বিশ্ব এক হয়ে হয়ে চলার শপথ নেয়, বলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও। মানবসভ্যতার এই সঙ্কটের সময় এক হয়ে লড়াই করতে হবে। পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-বিদ্বেষ জটিলতা আরও বাড়াবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুধু মানুষকে নয়, তার সমাজকেও তছনছ করে দিচ্ছে। স্বাস্থ্য বিপর্যয় শুধু নয়, মানবসভ্যতার বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আছে গোটা বিশ্ব।

বিশ্বে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ইউরোপে আক্রান্ত ১০ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক। আমেরিকাতেই ভাইরাস আক্রান্ত ছ’লক্ষের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজারেরও বেশি মানুষের।

আরও পড়ুন: চড়ছে আতঙ্কের পারদ! ২৪ ঘণ্টায় ২৬০০ মৃত্যুর রেকর্ড আমেরিকায়

Gmail 1
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest