বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক Dan Brown -এর সেরা ৫ বই

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় থ্রিলার – রহস্য লেখক ড্যান ব্রাউন। প্রাচীনকালের ক্রিপ্টোগ্রাফী, সিম্বল, কোড ব্রেকিং, গোপন সংঘ, ষড়তন্ত্র তত্ত্বের মিশেল – তাঁর বইগুলোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য, যা কিনা পাঠকদের সহজেই আকৃষ্ট করে। ড্যান ব্রাউনের লেখালেখির কাজ শুরু হয় ডিজিটাল ফোরট্রেস নামক বইটি দিয়ে। তবে প্রথম বই দিয়ে পাঠক মহলে তেমন সাড়া ফেলতে না পারলেও পরবর্তী সময়ে তার বইগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। চলুন, আর দেরী না করে দেখে নেই ড্যান ব্রাউনের সেরা ৫ বই কোনগুলো।

দা দ্য ভিঞ্চি কোড (The Da Vinci Code)

ড্যান ব্রাউনের সবচেয়ে সেরা বই দা দ্য ভিঞ্চি কোড। এটি ড্যান ব্রাউনের রবার্ড ল্যাংডন সিরিজের ২য় বই। এটি বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত থ্রিলার বই।

বইতে দেখা যায়, দু’হাজার বছরের পুরনো সত্যকে চিরতরে নির্মূল করার জন্যে একই দিনে চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। যে সত্যটি জানাজানি হয়ে গেলে হাজার বছরের ইতিহাস লিখতে হবে নতুন করে। আর সেই সত্যটি লালন করে আসছে একটি গুপ্ত সংঘ। যেই গুপ্ত সংঘের সদস্য ছিলেন আইজ্যাক নিউটন, ভিক্টর হুগো, বত্তিচেল্লি আর লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ওদিকে উগ্র এক ক্যাথলিক সংগঠন সেই সত্যকে চিরতরে নির্মূল করার আগেই গুপ্তসংঘের গ্র্যান্ডমাস্টার তার ঘনিষ্ঠ একজনের কাছে হস্তান্তর করে দেয়। পরে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মীয় বিদ্যার অধ্যাপক রবার্ড ল্যাংডন ও সোফি নেভু, খুনের ঘটনার তদন্ত নিয়ে এই রহস্যে জড়িয়ে পড়েন। ৪৫ টি ভাষায় অনুবাদ করা এই বইটি সারা বিশ্বে ব্যপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অবশ্যই বইটি পড়ে দেখবেন।

এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস (Angels & Demons)

ড্যান ব্রাউনের রবার্ড ল্যাংডন সিরিজের ১ম বই এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস। এ বইটিতেই ড্যান ব্রাউন সৃষ্টি করেন তার বিখ্যাত রবার্ট ল্যাংডন চরিত্রটি।

বইতে দেখা যায়, সার্নের বিশিষ্ট পদার্থবিদ লিওনার্দো ভেট্রাকে খুনের তদন্তে জড়িয়ে পরে রবার্ট ল্যাংডন। খুনের পরে মৃতদেহের গায়ে আঁকা হয়েছে একটি সিম্বল। সিম্বলটি দেখে ল্যাংডনের দম বন্ধ হয়ে আসে, অবিশ্বাস্য মনে হয়। কারন বৃদ্ধের শরিরে আঁকা সিম্বলটির নাম ইলুমিনাতি। শতাব্দি-পুরনো ব্রাদারহুড – দ্য ইলুমিনাতি। এই ব্রাদারহুডের কাজ ছিল তখনকর সময় বৈজ্ঞানিক সূত্রগুলো রক্ষা করা এবং ধর্মকে বিজ্ঞান থেকে আলাদা করা। এর সদস্য ছিল সেই সময়ের বিখ্যাত পদার্থবিদ, গনিতবিদ, এ্যাস্ট্রোনোমারসহ আরো অনেকে। কিন্তুু বর্তমান যুগে এই ব্রাদারহুড পরিনত হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং ক্ষমতাবান আন্ডারগ্রাউন্ড সংঘে। ক্যাথলিক চার্চের বিরুদ্ধে ফনা তুলছে এই ইলুমিনাতি। ভ্যাটিকান সিটি, পোপ, ইলুমিনাতি, ধর্ম, ইতিহাস, রহস্য নিয়ে বইটি ড্যান ব্রাউনের অন্যতম সেরা বই।

ইনফার্নো (Inferno)

ইনফার্নো ড্যান ব্রাউনের রবার্ড ল্যাংডন সিরিজের ৪র্থ বই। এই বইয়ের মাধ্যমে ড্যান ব্রাউন আপনাকে আরো একবার জড়িয়ে ফেলবে কোড, সিম্বল, ইতিহাস আর গোলকধাঁধাতুল্য ষড়যন্ত্রের জালে। বইয়ের শুরুতে সিম্বলজিস্ট রর্বাট ল্যাংডন জ্ঞান ফিরে নিজেকে আবিষ্কার করে ইতালির ফ্লোরেন্সে। তার কি হয়েছে, কি ঘটেছে কিছুই জানে না সে। স্মৃতিভ্রষ্ট ল্যাংডনরে মাথায় প্রতিধ্বনিত হতে থাকে একটি কথা, “খুঁজলেই পাবে”।

আর সেই সাথে তার জামার পকেটে পাওয়া যায় অদ্ভুত আর ভীতিকর একটি জিনিস। তার কোনো ধারণাই নেই কোত্থেকে এটা এলো। তারপরই ঘটতে থাকে একরে এক পর সহিংস ঘটনা। ঘটনাচক্রে তার সাথে জড়িয়ে পড়ে অদ্ভুত এক মেয়ে। তারা দুজন জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়ায়, সইে সঙ্গে রহস্যের সমাধান করতে থাকে একটু একটু করে। অবশেষে আসল সত্যটি জানতে পারলওে বড্ড দেরি হয়ে যায়। কেননা শুধু তাদের জীবনই নয়, পুরো মানবজাতি মারাত্মক এক হুমকির মুখে পড়ে গেছে।

আরও পড়ুন: World Book Day: আরও বেশি যত্নে থাকুক প্রিয় বইগুলো

দ্য লস্ট সিম্বল (The Lost Symbol)

মার্কিন লেখক ড্যান ব্রাউনের আরেকটি অনন্য সৃষ্ট উপন্যাস দ্য লস্ট সিম্বল। ২০০৯ সালে প্রকাশের পর বইটি অন্য সব বইয়ের মতোই জনপ্রিয় হতে থাকে। বইতে রবার্ড ল্যাংডন আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে শ্বাসরুদ্ধকর একটি অভিযানে জড়িয়ে পড়েন। এটি ল্যাংডনকে নিয়ে ড্যান ব্রাউন রচিত ৩য় বই।

১৯৯১ সালে সিআইএর পরিচালনায় সিন্দুকে একটি অতি গোপনীয় ডকুমেন্ট তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। সেটি আজও সেখানে সেভাবেই আছে। প্রাচীন যুগের বিভিন্ন আকি-ঝুকি ওয়ালা সংকেত এবং অজানা জায়গার দিক নির্দেশনা রয়েছে এই ডকুমেন্টে। এই ডকুমেন্ট ও উপন্যাসে উল্লেখিত বিভিন্ন সংগঠনকে কেন্দ্র করে ড্যান ব্রাউন পুরো উপন্যাসে এক রহস্যের সৃষ্টি করেছে। রোমহর্ষক অ্যাডভেঞ্চার এর সাথে ইতিহাস, আলকেমি, আর্কিটেকচার, মিথ আর সিম্বোলজির এক অদ্ভুত সম্মিলন ফুটে উঠেছে উপন্যাসটিতে।

অরিজিন (Origin)

ড্যান ব্রাউনের সেরা ৫ বই এর লিস্ট শেষ করছি রবার্ড ল্যাংডন সিরিজের ৫ম বই অরিজিন দিয়ে। বইতে দেখা যায়, ‘বিজ্ঞানের চেহারা চিরদিনের জন্যে পাল্টে দেবে’- এমন এক যুগান্তকারি ঘোষণার সাক্ষী হতে সিম্বোলজিস্ট রবার্ট ল্যাংডন স্পেনের বিলবাওয়ের অত্যাধুনিক গুগেনহাইম জাদুঘরে উপস্থিত হয়েছে। আর এই ঘোষণা দিতে যাচ্ছে তারই এক পুরনো ছাত্র, একচল্লিশ বছর বয়সি ধনকুবের, ফিউচারিস্ট এবং প্রযুক্তি দুনিয়ার প্রবাদপ্রতীম ব্যক্তিত্ব এডমন্ড কিয়ার্শ।

কিন্তু অনুষ্ঠান শুরু হতেই ল্যাংডন বুঝতে পারে ভীষণ বিতর্কের জন্ম দিতে যাচ্ছে এডমন্ডের আবিষ্কার। এসময় হঠাৎ করেই ঘোলাটে হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। আবিষ্কারের কথাটা মুখেই থেকে যায় কিয়ার্শের। জাদুঘরের পরিচালক অ্যাম্ব্রা ভিদালের সাথে বিলবাও থেকে পালাতে বাধ্য হয় ল্যাংডন। বার্সেলোনার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় তারা একটি গোপন, সংরক্ষিত পাসওয়াডের্র খোঁজে, যেটা কিনা তাদের সাহায্য করবে কিয়ার্শের আবিষ্কার উন্মোচনে।

ধর্মীয় ইতিহাসের পথে ল্যাংডন এবং ভিদালের এই অভিযানে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ভীষণ শক্তিশালী এক প্রতিপক্ষ, যার ক্ষমতা স্পেনের রাজসভা পর্যন্ত বিস্তৃত। এডমন্ড কিয়ার্শের আবিষ্কারকে কোনভাবেই প্রকাশ হতে দেবে না তারা। আধুনিক চিত্রকলা এবং কিছু গুপ্ত সংকেতের সহায়তায় ল্যাংডন কি পারবে এই আবিষ্কার উন্মোচন করতে? চরম সত্যের মুখোমুখি হতে?

আরও পড়ুন: প্রফেসর শঙ্কু, বঙ্কুবাবু থেকে ফেলুদা- ফিরে দেখা সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট কিছু কালজয়ী চরিত্র

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest