নয়াদিল্লি: আগামী ৩ মে’র পরে দেশজুড়ে লকডাউন থাকছে না। তবে পুরোপুরি রাশ আলগা করার ঝুঁকিও নেবে না কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে এমনই ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বর্ধিত লকডাউনের মেয়াদ শেষে আবারও যে সারাদেশকে তালাবন্ধ করা হবে না, সেই ইঙ্গিত পয়লা বৈশাখে জাতির উদ্দেশে ভাষণেই দিয়েছিলেন মোদী। সেজন্য আগেভাগে তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। করোনার প্রকোপের ভিত্তিতে দেশের জেলাগুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী কয়েকটি এলাকায় লকডাউনে আংশিক ছাড় দিয়ে জল মেপেছে কেন্দ্র। আর তাতে যে কেন্দ্র মোটের উপর সন্তুষ্ট, তা সোমবারের বৈঠকে কার্যত স্পষ্ট করে দেন মোদী।
পাশাপাশি করোনার জেরে শ্লথ হয়ে যাওয়া অর্থনীতিতে চাঙ্গা করতে লকডাউন শিথিলের ইঙ্গিত দেন মোদী। কোথায় কোথায় বিধিনিষেধ শিথিল হবে, তারও একটি রূপরেখা তুলে ধরেন মোদী। সরাসরি না বললেও মোদী কার্যত স্পষ্ট করে দেন, ৩ মে’র শুধুমাত্র রেড জোন বা হটস্পট এলাকাগুলি তালাবন্ধ থাকবে। কমলা জোন বা নন-হটস্পট এলাকায় আংশিক লকডাউন রাখা হবে। অর্থাৎ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ থাকলেও কয়েকটি কাজের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেবে কেন্দ্র। সবুজ জোনে কোনও বিধিনিষেধ থাকবে না বলে ইঙ্গিত দেন মোদী।
আরও পড়ুন: আশার আলো! করোনা মুক্ত ৩০০ জেলা, নন হটস্পট ১৯৭,জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তাঁর কথায়, ‘দেশের ৩০০ টি জেলা সুরক্ষিত বা সবুজ জোনে রয়েছে। সেগুলিকে আমাদের তীর্থস্থানের মতো বিবেচনা করতে হবে। এই এলাকাগুলি একত্রিতভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা পালন করবে। তবে সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলতে হবে। দো গজ কী দূরির মন্ত্র বাতিল করলে হবে না। কীভাবে সবুজ জোনকে বাড়ানো যায়, সেদিকেই নজর থাকবে আমাদের। আগামীদিনে আমাদের জীব ন কেমন হবে, সেই মডেল সবুজ জোনে তৈরি হবে। কমলা জোনে নয়, লাল জোনে তো নয়ই।’
মোদীর মতে, সবুজ জোনে যে অভিজ্ঞতা হবে, তার ভিত্তিতে অন্যান্য জোনের ক্ষেত্রে ঘুঁটি সাজানো হবে।পাশাপাশি অনেকে তাঁকে বিভিন্ন পরামর্শও দিয়েছে। মোদীর কথায়, ‘বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও রয়েছে। তার ভিত্তিতে আমরা নিশ্চিত করব যে লকডাউন থাকুক। কিন্তু জীবনযাপন চালু থাকুক। আমাদের মন্ত্র হচ্ছে, লাল জোনকে কমলায়, কমলা জোনকে সবুজ জোনে পরিণত করা।’
দেশের আর্থিক অবস্থা মোটামুটি ভাল জায়গায় রয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রীদের আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে ৩ মে-র পরের পরিকল্পনা ছকে রাখার কথাও বলেছেন নরেন্দ্র মোদী। সোমবারের ভিডিয়ো কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন মোট ৯ জন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক সূত্রে খবর, তার মধ্যে পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন তোলার পক্ষে মত দিয়েছেন। বাকি চার মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এখনই পুরোপুরি লকডাউন তুলে নেওয়ার পক্ষে সায় দেননি।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার, মৃত্যু বেড়ে ৮৭২