বাংলার দিকেও ঝাঁকে ঝাঁকে ধেয়ে আসছে পঙ্গপাল !

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: ধেয়ে আসছে পঙ্গপাল।উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এই পঙ্গপাল ফসলের প্রচুর ক্ষতি করেছে। এবার সেই পঙ্গপালের দল ওড়িশায় প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তারপর তারা হানা দিতে পারে বাংলায়।

ওড়িশা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ডিরেক্টরেট অফ এক্সটেনশন এডুকেশনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কৃষকদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। দেশের উত্তর, পশ্চিম ও উত্তর–পশ্চিম রাজ্যে হামলা চালিয়ে ফসল ও সবজি নষ্ট করে এই এই পতঙ্গ ওড়িশাতেও আসতে পারে।

আরও পড়ুন: ফের বাড়তে পারে লকডাউনের মেয়াদ! নজরে দেশের ১১ শহর!

পঙ্গপালের হানায় কাঁপছে রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর ও মধ্যপ্রদেশ। একে দেশজুড়ে নিত্যদিন বাড়ছে করোনার কামড়, উপরন্তু দোসর পঙ্গপাল! করোনা আতঙ্কের মাঝেই উদ্বেগ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল পশ্চিম ও মধ্য ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে পঙ্গপালের হানা। একাই ৩৫ হাজার মানুষের ১ বছরের খাবার নাকি নিমেষে খেয়ে ফেলতে পারে এই পঙ্গপালের ঝাঁক! নষ্ট হতে পারে ফসল।

করোনা বিপর্যয়ের মধ্যে নতুন ত্রাস ফসলখেকো পঙ্গপাল। রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র। ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে হানা দিয়েছে পঙ্গপাল। মথুরা ও দিল্লিতে হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। কৃষিবিজ্ঞানীদের দাবি, ২৭ বছরে দেশে এত বড় পঙ্গপাল হানার ঘটনা হয়নি।

কৃষিবিজ্ঞানীদের দাবি, ২৭ বছরে দেশে এত বড় পঙ্গপাল হানার ঘটনা হয়নি। কী এই পঙ্গপাল? কতটা আশঙ্কার এই পঙ্গপালের হানা?বাঙালির সঙ্গে পঙ্গপাল আর পঙ্গপালের হানার পরিচয় বোধহয় ‘সহজপাঠ’ থেকেই। তবে পঙ্গপালের অস্তিত্ব মেলে প্রাচীন মিশরীয় ধর্মগ্রন্থে, গ্রীক সাহিত্যে। পঙ্গপালের ইংরাজি ‘লোকস্ট’। যা লাতিন শব্দ ‘লোকস্তা’ থেকে এসেছে। লোকস্তা মানে ফড়িং। এরা ঝাঁকে ঝাঁকে আসে।

বাঙালির সঙ্গে পঙ্গপাল আর পঙ্গপালের হানার পরিচয় বোধহয় ‘সহজপাঠ’ থেকেই। তবে পঙ্গপালের অস্তিত্ব মেলে প্রাচীন মিশরীয় ধর্মগ্রন্থে, গ্রীক সাহিত্যে। পঙ্গপালের ইংরাজি ‘লোকস্ট’। যা লাতিন শব্দ ‘লোকস্তা’ থেকে এসেছে। লোকস্তা মানে ফড়িং। এরা ঝাঁকে ঝাঁকে আসে।

বিশাল বড় ঝাঁক হয় এদের, যার জন্য আকাশ পুরো কালো হয়ে যায় ৷ এক বর্গ কিলোমিটার জুড়ে যদি পঙ্গপালের ঝাঁক থাকে, তবে সেই ঝাঁকে থাকা পঙ্গপালের সংখ্যা প্রায় ১৫ কোটি। এরা যে কোনও ধরণের শস্য খায়। রোজ এরা নিজেদের সমান ওজনের খাবার খায়। একটি পূর্ণবয়স্ক পঙ্গপালের ওজন ২ গ্রাম। রাষ্ট্র সংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশনের তথ্য, এই ১৫ কোটি পঙ্গপাল একদিনে যা শস্য খায়, তা ৩৫ হাজার মানুষের খাবার। মরু পঙ্গপালের ঝাঁক দিনে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পূর্ব আফ্রিকা, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া এবং লোহিত সাগর সংলগ্ন এলাকায় অনুকূল আবহাওয়ার জেরেই পঙ্গপালের বিপুল প্রজনন ঘটেছে। ২০১৯-এও ভারতে পঙ্গপাল হানা দিয়েছিল। তবে তা এত বড় ছিল না। এবারের ক্ষতির আশঙ্কা অনেক বেশি।

বুধবার সংবাদসংস্থাকে একথা জানান কারওয়া। তিনি বলেন, “পাকিস্তান থেকে পঙ্গপালের ঝাঁক রাজস্থানে ঢুকছে। এক মাস ধরে প্রতি ২-৩ দিন অন্তর এই ঘটনা দেখা যাচ্ছে। পাকিস্তান এই পঙ্গপালের নতুন জন্মস্থান হয়ে উঠেছে। সেখানে থেকেই ভারতে এসে তারা ঢুকছে। সম্প্রতি রাজস্থানের জয়পুরে পঙ্গপালের চারটি ঝাঁক ঢুকেছে।”

আরও পড়ুন: স্টেশনেই মারা গিয়েছে পরিযায়ী মা, বছর দেড়েকের সন্তান চেষ্টা করছে জাগাতে!

Gmail 3

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest