সামনে বিহার ভোট, পাকিস্তানের সর্বনাশ দেখাতে ব্যস্ত ‘সেই মিডিয়ারা’! মস্করা টুইটারে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিহার ভোট দোরগোড়ায়। নীতীশের দল ও বিজেপি কারো কাছে ইস্যু নেই। উন্নয়নে বহু আগেই ‘করোনা ধরেছে’। এখন তা আর না কপচানোই ভালো। তাবলে হাত গুটিয়ে বসে থাকাও তো যায় না। ফলে ‘মিডিয়া’ মতান্তরে ‘মোদিয়া’ নেমে পড়েছে পাকিস্তান ও ইমরান খানের সর্বনাশ দেখাতে। পাকিস্তানের সর্বনাশ দেখাতে পারাটাও যেন মোদী সরকারের কৃতিত্ব। তা করতে গিয়ে ভারতীয় মিডিয়া যা করছে তাতে বিশ্বজুড়ে তারাই মস্করার পাত্র হল। মনে করছেন অনেকেই। পাকিস্তানে গৃহযুদ্ধ বলে যে খবর ভারতের মিডিয়া প্রকাশ করল তা নিয়ে একর পর এক মস্করা মিমে ভরে গেল টুইটার।

আরও পড়ুন : ভারত মারাত্মক নোংরা দেশ! ভোট প্রচারে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, নীরব ‘বন্ধু’ মোদী ও তাঁর ভক্তরা

পাকিস্তানে গৃহযুদ্ধ হচ্ছে বলে ভারতীয় মিডিয়ার উল্লাস নিয়ে টুইটারে যেসব পোস্ট হয়েছে তা সচেতন ভারতবাসী হিসাবে লজ্জা পাওয়ার মতই ঘটনা ।

এই ফেক নিউজের ভিত্তিটি হল, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের জামাই সোমবার গ্রেফতার হন করাচি থেকে। পাক সেনা এই কান্ড করে বলে অভিযোগ। এর ফলে প্রতিবাদে সিন্ধ পুলিশের বহু সিনিয়র আধিকারিক প্রতিবাদ করেন। অনেকে ছুটিতে চলে যান। এটি ছিল মূল বিষয়। কিন্তু সেটিকে গৃহযুদ্ধ বলে বেমালুম চালিয়ে দেয় বিশেষ শ্রেণীর ভারতীয় মিডিয়া।

অনেক বলছে এই মিডিয়া আসলে উৎসাহ পেয়েছে শাসক দলের নেতাদের কাছ থেকে। শাসকদলের প্রধান স্বয়ং বেমালুম এমন সব কথা বলেন যার কোনও বাস্তব ভিত্তিতে নেই। কিন্তু দেশের আমি জনতা তাতে বেজায় খুশি হয়। তাঁর এই বেমালুম ভাষণের মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট সাবজেক্ট রয়েছে। সেগুলির মধ্যে পাকিস্তান একটি। যেকোনো ক্রাইসিসে তিনি পাকিস্তান ইস্যুটি বের করেন।

অনেকেই বলছে পাকিস্তান নাকি ভারতের দেশে করোনা মোকাবিলা ভালো করেছে। থালা, বাসন, কাঁসর বাজানোর কোনও প্রয়োজন তাদের পড়েনি। সম্প্রতি যে ক্ষুধা সূচক প্রকাশ পেয়েছে তাতেও পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অবস্থা ভারতের থেকে ভালো। সীমান্তে তেমন করে একটা যুদ্ধ পরিস্থিতিও আলাদা করে নেই। যা রয়েছে তা চীনের সঙ্গে। তার ভোট মার্কেট ভালো নয়। পাকিস্তান হলে ব্যাপারটা জমে। অথচ একটা নির্বাচন ঘাড়ের কাছে। ‘দেশ উন্নতি করছে’ একথা ঘোর গেরুয়া পন্থীও বিশ্বাস করবে না। তাই কেন্দ্র এখন অস্ত্রের শব্দ শোনাতে চাইছে দেশবাসীকে। তাদের বোঝাতে চাইছে  এখন ‘হাম ভি কিসিসে কম নেহি।’ একটা যুদ্ধযুদ্ধ ভাব জিইয়ে রাখতে হচ্ছে। আর সেটা জনগনের সামনে বিনোদনের মোড়কে উপস্থাপন করছে শাসকদলের ‘পালতু’ মিডিয়া।

ভারতীয় ‘মোদিয়ার’ এমন ফেক খবরের জবাব কিন্তু রসিকতার সঙ্গেই দিয়েছে পাকিস্তান। টুইটার দেখলেই তা বোঝা যাবে।

আরও পড়ুন : বাংলাদেশের উন্নয়ন হজম করতে বহু ভারতীয়র কষ্ট হয়!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest