ছক কষে আত্মসমপর্ণ না পুলিশের সাফল্য? বিকাশের গ্রেফতারিতে উঠছে প্রশ্ন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কীভাবে পুলিশের জালে ধরা পড়ল গ্যাংস্টার বিকাশ দুবে? তা নিয়ে এমনিতেই একাধিক প্রশ্ন উঠছে। তারইমধ্যে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী মহাকাল মন্দিরের পুরোহিত এবং নিরাপত্তারক্ষীর বয়ানে আরও অসঙ্গতি প্রকট হল। পুরোহিত গোপাল সিংয়ের দাবি, মহাকাল মন্দিরে আসার জন্য বিকাশের কাছে ভিআইপি পাস ছিল। তিনি বলেন, সে মন্দিরে আসে এবং কোথায় ব্যাগ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখবে, তা জানতে চায়। আমি ওকে সাহায্য করি এবং প্রসাদ দিই।ও মন্দিরের ভিতর চলে যায় এবং প্রার্থনা করে। বাইরে আসার সময় তাকে চিহ্নিত করে আমাদের নিরাপত্তাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক রুবি যাদব। মহাকাল পোস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজয় রাঠৌর। যিনি আরও জেরা করেন। বিকাশ দুবে পালানোর চেষ্টা করে। তবে তাকে ধরে রাখে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী।

আরও পড়ুন : মমতার কথা শুনতে চায় অক্সফোর্ড, ফের আমন্ত্রণ নেত্রীকে

অন্যদিকে মন্দিরের নিরাপত্তারক্ষী লক্ষ্মণ যাদব বলেন, ‘সকাল সাতটা নাগাদ মন্দিরের পিছন গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে বিকাশ দুবে। ওকে দেখেই বিকাশ বলে সন্দেহ করি। আমাদের দফতরে জানাই এবং ঘণ্টাদুয়েক ধরে তদন্ত চলে।’ তবে তাঁর দাবি, মন্দিরে ঢোকেনি বিকাশ। বিকাশের সঙ্গে কেউ ছিল কিনা, তা নিয়েও কিছুটা অসংগতি ধরা পড়ে তাঁর কথায়।

কানপুরে আটজন পুলিসকর্মী খুনের মূল পাণ্ডা বিকাশকে বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়ন থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তবে জানা যাচ্ছে বিকাশকে আসলে পুলিশ ধরতে পারেনি ও আসলে আত্মসমপর্ণ করেছে।বুধবার পুলিস জানিয়েছিল, ফরিদাবাদ-এনসিআর এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে বিকাশ। সেখান থেকে একদিনের মধ্যে উজ্জয়ন কী করে পৌঁছে গেল বিকাশ! তা নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছে পুলিসও। কারণ ওই এলাকায় বিকাশকে ধরতে চেকপোস্ট বসিয়েছিল পুলিস।

গত কয়েকদিন ধরে উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ, দুই রাজ্যের পুলিসকে ঘোল খাইয়েচে বিকাশ। শেষে উজ্জয়নে পৌঁছে মহাকাল মন্দিরে পুজো দিয়ে আত্মসমর্পণ করে  বিকাশ দুবে। জানা গিয়েছে, একজন ফুল বিক্রেতার কাছ থেকে খবর পাওয়ার পরেই মন্দিরের নিরাপত্তারক্ষীরা পুলিশকে খবর দেন। তারপরই সেখানে এসে বিকাশকে গ্রেপ্তার করে মধ্যপ্রদেশের পুলিশ।

গ্রেপ্তারির খবর পাওয়ার পরেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। কানপুরের ডনের গ্রেপ্তারির খবর দিয়ে তাকে খুব তাড়াতাড়ি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান। শুরু হয়ে যায় একে অপরের পিঠ চাপড়ানোর খেলাও। কিন্তু, এর মাঝেই বিকাশের এই নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তারির পিছনে কোনও ঠান্ডা মাথার পরিকল্পনা রয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

প্রশ্ন উঠছে বিকাশকে এনকাউন্টারের হাত থেকে বাঁচানোর জন্যই কি মহাকাল মন্দিরের মতো একটি ব্যস্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হল? অনেকের দাবি, বিকাশই মহাকাল মন্দিরে যাওয়ার কথা পুলিশকে জানিয়েছিল। তার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। না হলে যে মানুষকে দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্যের পুলিশ খুঁজছে। সে আচমকা দিনের আলোয় মহাকাল মন্দিরের মতো একটি ব্যস্ত এলাকায় কেন যাওয়ার ঝুঁকি নিল?

প্রশ্ন উঠছে বিকাশকে এনকাউন্টারের হাত থেকে বাঁচানোর জন্যই কি মহাকাল মন্দিরের মতো একটি ব্যস্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হল? অনেকের দাবি, বিকাশই মহাকাল মন্দিরে যাওয়ার কথা পুলিশকে জানিয়েছিল। তার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। না হলে যে মানুষকে দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্যের পুলিশ খুঁজছে। সে আচমকা দিনের আলোয় মহাকাল মন্দিরের মতো একটি ব্যস্ত এলাকায় কেন যাওয়ার ঝুঁকি নিল? বিকাশের কোনও ক্ষতি হল না , অথচ তার সাঙ্গপাঙ্গরা এনকাউন্টারে মরল। ডাল মে কুচ কালা হ্যায় মনে করছে নেটনাগরিকরাও।

আরও পড়ুন : আজ থেকে শুরু কড়া লকডাউন, দেখে নিন, ছাড় কিসে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest