ওয়েব ডেস্ক: বুধবার সকালে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রখ্যাত অভিনেতা ইরফান খান। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
২০১৮ সাল থেকে কর্কট রোগে ভুগছিলেন তিনি। তবুও লড়াই চালিয়ে জাচ্ছিলেন জীবনের হাত শক্ত করে ধরে রেখে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ইরফান খানের প্রয়াণে শোকের ছায়া শুধুমাত্র চলচ্চিত্র জগতেই নয়, সারা দেশে।
ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘ইরফান খানের মৃত্যু সারা দুনিয়ার চলচ্চিত্র ও নাট্য জগতের ক্ষতি। ওঁকে সারা বিশ্ব মনে রাখবে অত্যন্ত প্রতিভাশালী এক অভিনেতা হিসেবে, যাঁর সর্বত্র অবাধ যাতায়াত ছিল। ওঁর পরিবার, বন্ধু এবং ভক্তদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’
পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত অভিনেতার মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। টুইট বার্তায় রাষ্ট্রপতি লেখেন, ‘শোকাহত এমন একজন গুণী অভিনেতার অকাল প্রয়াণের খবর পেয়ে। অসামন্য প্রতিভাধর, শক্তিশালী এক অভিনেতা, নিজ অভিনয় দক্ষতায় প্রতিটি চরিত্রকে তিনি জীবন্ত করে তুলতেন যা স্মৃতি রয়ে যাবে আজীবন। বিশ্ব সিনেমার একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেল, বিরাট শূন্যতা তৈরি হল সিনেমাপ্রেমীদের মনে। তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি রইল সমবেদনা।
ইরফান খানের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ট্যুইটে মমতা লিখেছেন, ‘প্রখ্যাত অভিনেতা ইরফান খানের প্রয়াণে শোকাহত। ওঁর অসাধারণ সব কাজ আগামী প্রজন্মের কাছে লেগাসি হয়ে থেকে যাবে। কয়েক বছর আগে কলকাতায় এসে ও আমার সঙ্গে দেখা করেছিল… মনে পড়ে যাচ্ছে। ওঁর পরিবার, বন্ধু এবং ভক্তদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’
বুধবারই দুপুর ৩টে নাগাদ ইরফান খানের দাফন (শেষ কৃত্য) সম্পন্ন হয়। তাঁকে দাফন করা হয় ভার্সোভার কবরস্থানে। উপস্থিত ছিলেন পরিবার, নিকট আত্মীয় এবং বন্ধুরা।