ওয়েব ডেস্ক: লকডাউনে ঘরবন্দি। কেউ কেউ ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন বটে। কেউ আবার পুরোটাই ছুটিতে। এই অখণ্ড অবসরকে ষোলো আনাই কাজে লাগাচ্ছেন ভারতীয়রা। চুটিয়ে পর্ন দেখছেন তাঁরা। রাতারাতি বেড়ে গিয়েছে পর্নসাইটের ট্রাফিক।
আরও পড়ুন: Covid-19: রাজ্যে আক্রান্ত বেড়ে ২৭, মৃত ৩, করোনাভাইরাস টেস্টিংয়ে পিছনের সারিতে বাংলা
অবশ্য শুধু ভারতই নয় পর্ন দেখা বেড়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বেরই। দেখা যাচ্ছে, লকডাউনের দিনগুলি রাতজুড়ে সারা বিশ্বে পর্নহাব সাইটটি রাজত্ব করছে। চলতি মাসের ১৬-১৭ মার্চ পর্নহাবে ট্রাফিক বেড়ে গিয়েছিল প্রায় ৩১.৫ শতাংশ। রাত পেরোতে তা কমতে শুরু করলেও আবার পরদিন গড়ের তুলনায় বেড়ে যায় ২৬.৪ শতাংশ।
ভারতে প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের ডাক দেন ঘোষণা করেন ২২ মার্চ। স্তব্ধ হয়ে যায় সমস্ত চলাচল। ঘরবন্দি হয়ে যান মানুষ। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই সুযোগকে ভালই কাজে লাগিয়েছেন ভারতীয়রা। প্রমাণ মিলেছে পর্নহাবের দেওয়া হিসেবেও। সেখানে দেখা যাচ্ছে দুদিনেই ২৩ শতাংশ ট্রাফিক বেড়ে গিয়েছে। সমীক্ষকরা মনে করছেন এই ট্রাফিকের অনেকটাই আসছে ভারত থেকে।
পর্নহাব তাদের ‘প্রিমিয়াম সার্ভিস’ বিনামূল্যে পরিষেবা করে দেওয়ার ফলে বিভিন্ন সাইটে হঠাৎ দর্শকসংখ্যা একলাফে বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ।এর আগে এক প্রেস বিবৃতি জারি করে পর্নহাব জানিয়েছিল, বিশেষ এই সময়ে অত্যন্ত জরুরি ‘সামাজিক দূরত্ব (social distancing) বজায় রাখা’। আর ‘অতিমারীর’ এমন ভয়ংকর সময়ে ‘একাকিত্ব উপভোগ’ করাতেই ‘প্রিমিয়াম পরিষেবা সবার জন্য খুলে’ দিচ্ছে সংস্থা। আগামী ৩০ দিনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্নহাব।
যে দেশে যত আগে করোনা ছড়িয়েছে, সেই দেশে তত বেশি ট্রাফিক বেড়েছে পর্ন সাইটে। পর্ন হাবের সূত্র অনুযায়ী, গত ১১ মার্চ সারা পৃথিবীতে পর্ন সাইটে সবথেকে বেশি ট্রাফিক ছিল ইটালিতে। অন্যান্য কাজের দিনের তুলনায় সে দিন ইটালিতে ট্রাফিক বেড়েছিল ১৩.৮%।সেই তালিকায় ভারত ছিল সাত নম্বরে। এখানে পর্ন সাইটে ট্রাফিক সে দিন বেড়েছিল ৮.৩%। ওয়ার্ক ফ্রম হোম অপশনের বাড়বাড়ন্ত এবং ঘরবন্দি থাকার ফলেই বিপুল মানুষ পর্ন দেখছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনা এবং নরেন এসেছে দেশ ও বিশ্বকে শিক্ষা দিতে!