মহাষ্টমীর সকালে ফের বাঙালিদের মন পেতে বাংলায় ট্যুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যেই ষষ্ঠীর দিন সল্টলেকে বিজেপি-র আয়োজিত দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সে দিনের ভার্চুয়াল উদ্বোধনে রাজ্যবাসীকে শারদ শুভেচ্ছা জানান তিনি। রবীন্দ্র সঙ্গীত গান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও।
আজ অর্থাত্ শনিবার বাংলায় ট্যুইট করে রাজ্যবাসীকে অষ্টমীর শুভেচ্ছা জানান মোদী। ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘সকলকে জানাই মহাষ্টমীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা। মা দুর্গার আশীর্বাদে সমগ্র দেশবাসীর জীবন যেন সুখে শান্তিতে, স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ থাকে এই কামনা করি।’
আরও পড়ুন :নেপালের পুরনো মানচিত্র ব্যবহার করে ভারতবাসীকে দশেরার শুভেচ্ছাবার্তা ওলির, শুরু নতুন জল্পনা
সকলকে জানাই মহাঅষ্টমীর প্রীতি ও শুভেচ্ছা। মা দুর্গার আশীর্বাদে সমগ্র দেশবাসীর জীবন যেন সুখে শান্তিতে, স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ থাকে এই কামনা করি ?
— Narendra Modi (@narendramodi) October 24, 2020
বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। ২০২১-এ বাংলাকে টার্গেট করেছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটের দিকে তাকিয়ে বাঙালি মন ছোঁয়ার চেষ্টার কোনও রকম কসুর করছে না গেরুয়া শিবির। ময়দানে নেমেছেন খোদ মোদী। ষষ্ঠীর দিন ইজেডসিসি-তে বিজেপি-র আয়োজিত দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে মোদী বাংলাতে কথা বলেন। ৩৬ জন বাঙালি মণীষীর নাম করেন। বাঙালির হৃদয় ছোঁয়ার চেষ্টায় মোদী সে দিন বলেন, ‘বাংলার এই পবিত্র ভূমিতে আজ আপনাদের সকলের মাঝে আসতে পেরে আমি আনন্দিত ও ধন্য বোধ করছি। মানুষের উৎসাহ দেখে মনে হচ্ছে, দিল্লি নয় কলকাতায় আছি। পুজোর সময় গোটা দেশ বাংলাময় হয়ে যায়।’
মোদীর পুজো উদ্বোধনকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভুলে গিয়েছেন উনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। যেন দলের একজন হয়ে ভার্চুয়াল উপায়ে পুজোর উদ্বোধন করলেন। তারপর যেভাবে বললেন, তার মানে এটাই দাঁড়াচ্ছে, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার এলে কাজ করবেন, বা টাকা পাঠাবেন। উনি এটা ভুলে গিয়েছেন, বাংলার মানুষ ভারতের মানুষ। এটা ভুলে গিয়েছেন, এখানে মহিলাদের অবস্থা অন্য রাজ্যের থেকে অনেক ভাল।
উত্তর প্রদেশে কোনও ঘটনা ঘটলে উনি কথা বলতে ভুলে যান। হিংসার রাজনীতি কেউই পছন্দ করে না। কিন্তু এখানে অন্য রাজ্যের তুলনায় তা কম, মহিলারা সুরক্ষিত। যখন ভোটে আসে, তখন প্রধানমন্ত্রীর মনে পড়ে। তখন দুর্গাপুজো মনে পড়ে, কালীপুজো মনে পড়ে। অন্য সময় বাংলার কথা মনেই পড়ে না। হাজার হাজার কোটি টাকা বাকি পড়ে রয়েছে। সেই টাকা পাঠানোর নাম নেই।’
আরও পড়ুন : মৃত্যুর পর তাঁর সব সৃষ্টি যেন ধ্বংস করা হয়, উইল করলেন কবির সুমন