ওয়েব ডেস্ক: করোনা সংকটে একজোট গোটা বিশ্ব। এই গ্লোবাল ক্রাইসিসের মোকবিলায়ার জন্য একমঞ্চে শামিল দুনিয়ার তাবড় তাবড় শিল্পীরা।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং গ্লোবাল সিটিজেন সংগঠনের উদ্যোগে ভারতীয় সময়ানুসারে রবিবার ভোরে অনুষ্ঠিত হল ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড: টুগেদার অ্যাট হোম’।
বাড়ি বসেই এই অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন লেডি গাগা, টেলর সুইফট, বিয়ন্সে,বিলি এলিস, দ্য রোলিং স্টোনের মতো গ্লোবাই আইকনরা। দু ঘন্টা ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে পাওয়া গেল শাহরুখ খান ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাসকে। অনুষ্ঠানটির ক্রিয়েটিভ হেডের দায়িত্ব পালন করেছেন লেডি গাগা। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন জিমি কিমেল, স্টিফেন কোলবার্ট এবং জিমি ফ্যালন। সব মিলিয়ে গোটা বিশ্বের প্রায় ১০০ জনের বেশি তারকা অংশ নেন এই অনুষ্ঠানে।
করোনা সংকটে প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণ অর্থের। সেই অর্থসংগ্রহের জন্য এবং করোনা যুদ্ধে এক্কেবারে সামনের সারিতে থাকা যোদ্ধা অর্থাত্ জরুরি পরিষেবায় যাঁরা নিযুক্ত রয়েছেন সেই সব চিকিত্সক, নার্স, পুলিশকর্মী সহ বাকি সকলকে ধন্যবাদ জানাতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন।
আরও পড়ুন: লকডাউনে জুড়ছে ভাঙা সম্পর্ক! অবন্তিকার পোস্টে মিলছে ইঙ্গিত
শাহরুখ খান ভারতের করোনা পরিস্থিতির সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি জানান, এই দেশ ১০০ কোটির বেশি মানুষের বসবাস এইদেশে। স্বাভাবিকভাবেই করোনার মতো মহামারীর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে এদেশে। অভিনেতা আরও জানান কীভাবে তিনি এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং পিপিই কিট, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সুবিধা দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। সব শেষে শাহরুখ বলেন, ‘ মনে বিশ্বাস রাখো, আমি তোমাদের ভালোবাসি’।
View this post on InstagramPriyanka today speaking about the virus during the #togetherathome segment.
A post shared by updates of priyanka ♡ (@latestpriyanka) on
ইউনিসেফের দূত প্রিয়াঙ্কা, তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গেও। এদিন অভিনেত্রী বলেন, করোনা মহমারীর এই সময়ে- গোটা বিশ্বের শরণার্থী শিবির গুলোর পরিস্থিতি কী, সেখানে কী সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সেই শিবির গুলোতে বেসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিশুদ্ধ জল এবং স্যানিটাইজেশনের প্রয়োজন বলে জানান পিগি চপস।
এদিন বিশ্ববাসীকে আশার বার্তা দিয়ে বেশ কিছু গান গাইলেন লেডি গাগা। ধন্যবাদ জানালেন চিকিত্সক, স্বাস্থ্যকর্মীদের, মুদির দোকানে যাঁরা কাজ করছে, মহামারীর সময়েও এই সব ডেলেভারি বয়রা জীবনের পরোয়া না করে কর্তব্যে অবিচল রয়েছেন।
View this post on InstagramA post shared by Global Citizen (@glblctzn) on
শনিবার মধ্যরাত থেকে আট ঘণ্টার এই ভার্চুয়াল কনসার্ট শেষে আয়োজক গ্লোবাল সিটিজেন মুভমেন্টের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে- ঐতিহাসিক এই সম্প্রচারের পর কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় মোট ১২ হাজার ৭৯ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি এসেছে। এই অর্থের মধ্যে পাঁচ কোটি ৫১ লাখ ডলার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কোভিড সলিডারিটি রেসপন্স ফান্ডে দেওয়া হবে। বাকি সাত কোটি ২৮ লাখ ডলার মহামারী প্রতিরোধ যুদ্ধে স্থানীয় ও আঞ্চলিক স্বাস্থকর্মীদের সহায়তায় ব্যয় হবে।
দুই পর্বে বিভক্ত কনসার্টটি সারা বিশ্বের দর্শকরা উপভোগ করেন। শনিবার রাত ১২টা থেকে রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত লাইভ স্ট্রিমিং চলে । এরপর দুই ঘণ্টা টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক টুইট বিতর্কে দিদির পাশে কঙ্গনা, কেন্দ্রকে টুইটার বন্ধ করার আর্জি