ওয়েব ডেস্ক: একদিকে চিন, অপরদিকে পাকিস্তান। এবার তার মধ্যে নেপাল। সীমান্ত নিয়ে রীতিমতো নাজেহাল ভারত। বৃহস্পতিবার সে দেশের সংসদের উচ্চকক্ষ অর্থাৎ জাতীয় সভা’তেও পাশ হয়ে গিয়েছে নতুন মানচিত্র বিল।
ভারতের তিনটি ভূখণ্ড উত্তরাখণ্ডের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে নিজেদের দাবি করে নয়া মানচিত্র তৈরি করেছে নেপালের কমিউনিস্ট সরকার। শুধু তাই নয়, ভারত বিরোধী সুর যে নেপাল ভালোভাবেই চড়াচ্ছে, তা বারবার প্রমাণ দিচ্ছে তারা।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশি পণ্যের ৯৭% শুল্ক মকুব, নয়া দিল্লিকে চাপে রাখতে ঢাকাকে পাশে পেতে চিনের নয়া ‘চাল’
নেপালের রেডিওতে দিনভর বাজানো হচ্ছে ভারত বিরোধী গান। ঠিক যেভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে রেডিওতে লাগাতার প্রচার চালায় কিমের উত্তর কোরিয়া, নেপালও ভারতের ক্ষেত্রে সেই পথই অবলম্বন করেছে।
মস্যায় পড়েছেন উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ের ধরচুলা, ঝুলাঘাটের মতো এলাকার বাসিন্দারা। কারণ নেপালি চ্যানেল হলেও মে মাস থেকে কালাপানি রেডিও, নয়া নেপালের মতো রেডিও চ্যানেলগুলি ভারতের ওই এলাকার বাসিন্দারাও শুনতে পাচ্ছেন। দিনরাত তাতে চলছে ভারত বিরোধী কুৎসাও। ফলে ভারতবাসী হিসেবে ওই অঞ্চলের মানুষজন বেশ বিরক্ত হচ্ছেন, শুধু তাই নয় অনেকে রেডিও শোনাও বন্ধ করে দিয়েছেন।
নেপাল ভারতের দীর্ঘদিনের বন্ধু। তার এমন আচরণে স্বাভাবিক ভাবেই খানিকটা চিন্তিত নয়া দিল্লি। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়া ইস্তক তিনি বিশ্বের প্রায় সব দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে একাধিকবার উষ্ণ করমর্দন করেছেন। এত ঘন ঘন এমন করে বিদেশ সফর আর কোনো প্রধান মন্ত্রী করেননি। কিন্তু তাতে কিভাবে পড়শিদের সঙ্গে সম্পর্ক এমন খারাপ হয়ে উঠল, তা বুঝে উঠতে পারছে না অনেকেই। কেউ কেউ বলছেন আসলে তাড়াহুড়ো করছেন মোদী। সংঘের পাল্লায় পরে তার এই হাল। কেবল আস্ফালন করলে চলে না। পড়শীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখাটাও অত্যন্ত জরুরী। তা না হলে চীনের মত দেশ তার ফায়দা নেবেই।
আরও পড়ুন : বর্ণ বিদ্বেষ বিতর্ক! ভারতে আর ‘ফর্সা হওয়ার ক্রিম’ বিক্রি করবে না জনসন অ্যান্ড জনসন