কপিল সিব্বল, শশী থারুরের মতো নেতা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, বিস্ফোরক রাহুল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কপিল সিব্বল, শশী তারুর, গুলাম নবি আজাদ, পৃথ্বীরাজ চৌহান, বিবেক তানখা ও আনন্দ শর্মার মত নেতারা বলেছিলেন আমাদের চাই ‘ফুল টাইম, ভিসিবল লিডারশিপ’। গত ৭ অগাস্ট একটি চিঠি দিয়ে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের কাছে এমনই দাবি জানিয়েছিলেন দলের শীর্ষস্থানীয় ২৩ জন নেতা। সোমবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী সরাসরি মন্তব্য করলেন, ওই চিঠিটি যাঁরা লিখেছেন, তাঁরা গোপনে হাত মিলিয়েছেন বিজেপির সঙ্গে।

প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি ওই মন্তব্য করার কিছুক্ষণের মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টুইট করেন কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, আমরা গোপনে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছি। আমি রাজস্থান হাইকোর্টে সাফল্যের সঙ্গে কংগ্রেসের হয়ে সওয়াল করেছি। মণিপুরে দল যাতে বিজেপি সরকারের পতন ঘটাতে পারে, তার ব্যবস্থা করেছি। গত ৩০ বছরে একবারও বিজেপির হয়ে বিবৃতি দিইনি। তবু বলা হচ্ছে, আমি নাকি বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছি।”

আরও পড়ুন : IPL 2020: আবু ধাবিতে KKR শিবির, উঁকি দিন রাজকীয় হোটেলের অন্দরমহলে…

এদিন ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সনিয়া জানান, তিনি আর দলের শীর্ষপদে থাকতে চান না। কংগ্রেস এবার গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে সভাপতি পদে খুঁজে নিক। এরপরেই সরব হন রাহুল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, দল যখন মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে সংকটের মুখে, সভানেত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, ঠিক সেই সময়ে এমন চিঠি পাঠানো হল কেন? এর পরেই তিনি বলেন, যাঁরা ওই চিঠিটি লিখেছেন, তাঁরা গোপনে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।

রাহুলের কথিত ওই মন্তব্য নিয়ে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া যখন দলের সংস্কারের জন্য আওয়াজ তুলেছিলেন তখন কংগ্রেস বলেছিল তাঁর সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ রয়েছে। এখন গুলাম  নবি আজাদ ও কপিল সিব্বলের মতো নেতা যখন দলে ফুলটাইম নেতার দাবি করছেন তখনও বলা হচ্ছে তাদের সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে। এই দলকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এদিন সনিয়ার কাছে আর্জি জানান, তিনিই যেন সভানেত্রী থাকেন। যাঁরা হাইকম্যান্ডকে চিঠি লিখেছেন, তাঁদের সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর কথায়, “চিঠিটি দুর্ভাগ্যজনক। হাইকম্যান্ডকে দুর্বল করা মানে দলকেই দুর্বল করা।” দলের আর এক প্রবীণ নেতা এ কে অ্যান্টনি বলেন, “চিঠির বিষয়বস্তু খুবই নিষ্ঠুর।” কংগ্রেসের জন্য সনিয়া যে আত্মত্যাগ করেছেন তা মনে করিয়ে দেন অ্যান্টনি। সেই সঙ্গে তিনি রাহুলের কাছে আর্জি জানান, তিনি যেন কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

রাহুলের ওই মন্তব্যের পর গোলমাল শুরু হতেই আসরে নামেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। সদস্যদের শান্ত করতে তিনি টুইট করেন, রাহুল গান্ধী ওই ধরনের কোনও কথা বলেননি। দয়া করে মিডিয়ার মিথ্যে প্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। এখন আমাদের যেটা প্রয়োজন তা হল মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা। একে অপরকে আক্রমণ করা বা কংগ্রেসের ক্ষতি করা নয়।

আরও পড়ুন : প্রয়োজনে সেনা অভিযানে নামব, লাদাখ নিয়ে চিনকে হুঁশিয়ারি রাওয়াতের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest