Site icon The News Nest

কর্ণাটকের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয়, ১৩ বছর পর রঞ্জির ফাইনালে বাংলা

PTI02 03 2020 000134B 1583220623792 1583220639566

কলকাতা: ঘরের মাঠে কর্নাটককে ১৭৪ রানে হারিয়ে তেরো বছর বাদে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে গেল বাংলা। প্রথম ইনিংসে দুরন্ত শতরানের জন্য ম্যাচের সেরা অনুষ্টুপ মজুমদার। লাগাতার দুই বার বাংলার অনবদ্য বোলিংয়ের সামনে ভেঙে পড়ল কর্নাটকের তারকাখচিত ব্যাাটিং লাইনআপ। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই বিশেষ কোনও প্রতিরোধ না গড়ে ১৭৭ রানে অল আউট হল বাংলা। ছয় উইকেট নেন মুকেশ।

আরও পড়ুন: ওয়ানডে’র পর টেস্ট সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ, তীব্র ধিক্কার সোশ্যাল মিডিয়ায়

কোচ অরুণ লালের এই বাংলা যে অন্যরকম তা বোঝা গিয়েছিল গ্রুপ পর্বেই। ঈশান পোড়েল, অভিমণ্যু ঈশ্বরণদের পাশাপাশি অভিজ্ঞ মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদাররাও দুর্দান্ত খেলছিলেন। তবে, সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ ছিল টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা দল। যে দলে লোকেশ রাহুল, করুণ নায়ার, মণীশ পাণ্ডে, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, অভিমণ্যু মিঠুনদের মতো তারকারা খেলেন। এ হেন কর্ণাটককে ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিলেন ঈশান পোড়েলরা। আর এই জয়ের নায়ক মূলত চারজন। অনুষ্টুপ মজুমদার না থাকলে বাংলার ইডেন সেমিফাইনালে জেতা হত না। প্রথম ইনিংসে ১৪৯ নটআউটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ ৪১। টিমের দ্বিতীয় দফায় তোলা ১৬১ রানের চল্লিশ শতাংশই অনুষ্টুপের। ঠিক একই রকম ভাবে মনোজ তিওয়ারির কাছেও কৃতজ্ঞ থাকতে পারে বাংলা। বাংলা অধিনায়ক হিসেবে টিমলিস্টে যাঁর নাম লেখা থাকে, সেই অভিমন্যু ঈশ্বরণের কাজ হল মাঠে অধিকাংশ সময় চিত্রার্পিতের মতো দাঁড়িয়ে থাকা। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সবই নিয়েছেন মনোজ।

আরও পড়ুন: আচরণ নিয়ে প্রশ্ন, হোয়াইটওয়াশের পর সাংবাদিক বৈঠকে মেজাজ হারালেন কোহলি

ইডেনের পিচে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন মুকেশ। তাঁর শিকার দেবদূত (৬২)। কর্নাটককে টানছিলেন দেবদূতই। তিনি ফেরায় বাংলার জয় নিয়ে আর কোনও সংশয় ছিল না। এর পরে ঈশান পোড়েল ফেরান গৌতম (২২)-কে। ফের আঘাত হানেন মুকেশ। রণিত মোরে (৪)-কে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। শেষ উইকেটে ৩০ রান যোগ করেন অভিমন্যু মিঠুন (৩৮) ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ । প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ অপরাজিত থাকেন ২ রানে। অভিমন্যু মিঠুনকে ফিরিয়ে কর্নাটকের ইনিংস শেষ করেন আকাশদীপ।

Exit mobile version