নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে করোনা আতঙ্ক। মারক ভাইরাসের ধাক্কায় বেলাইন হওয়ার পথে অর্থনীতি। এরই মধ্যে এক RTI-এর উত্তরে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল রিজার্ভ ব্যাংক। দেশের শীর্ষ ঋণখেলাপীদের প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ স্রেফ মকুব করে দেওয়া হয়েছে। ঋণখেলাপিদের তালিকায় এমন বেশ কয়েকজনের নাম আছে যাঁদের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে তদন্ত চলছে।
সাকেত গোখলে নামের এক RTI কর্মী দেশের শীর্ষ ৫০ জন ঋণখেলাপির নাম এবং তাঁদের বর্তমান ঋণের পরিমাণ জানতে চেয়ে একটি RTI ফাইল করেন।তিনি জানিয়েছেন, সংসদে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাব দেননি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সেই কারণেই তিনি সঠিক তথ্য জানতে এই আবেদন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: কোয়ারেন্টাইন সেন্টার নাকি চিড়িয়াখানা? ভাইরাল ভিডিয়োতে অস্বস্তিতে যোগী সরকার
যার উত্তরে শীর্ষ ব্যাংক জানিয়েছেন, “শীর্ষ ৫০ জনে ঋণখেলাপির কাছে ৬৮ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা পাওনা আছে ব্যাংকগুলির।” এই তালিকায় সবার উপরে আছে বিতর্কিত অলংকার ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির (Mehul Choksi) নাম। স্রেফ চোকসিরই ৫ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা মকুব করেছে আরবিআই। দ্বিতীয় স্থানে REI Agro’র দুই ডিরেক্টর সঞ্জয় এবং সন্দীপ ঝুনঝুনওয়ালা। তাঁদের মোট ৪ হাজার ৩১৪ কোটি টাকার ঋণ মকুব করা হয়েছে। আরেক অলংকার ব্যবসায়ী যতীন মেহেতার প্রায় ৪ হাজার ৭৬ কোটি টাকা মকুব করা হয়েছে। তালিকায় আছে বাবা রামদেব (Ram Dev) এবং আচার্য বালাকৃষ্ণর সংস্থা রুচি সোয়া ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডও। তাঁদের প্রায় ২ হাজার ২১২ কোটি টাকা মকুব করা হয়েছে।
After @nsitharaman refused to answer Wayanad MP @RahulGandhi's question on top 50 willful defaulters in the Lok Sabha, I'd filed an RTI asking the same question.
— Saket Gokhale (@SaketGokhale) April 27, 2020
The RBI responded to my RTI with a list of willful defaulters (and the amount owed) as of 30th Sep, 2019.
(1/2) pic.twitter.com/gJMCFv8fAX
এক টুইটে সাকেত বলছেন, “৫০ জন ব্যবসায়ীর মোট ঋণখেলাপির পরিমাণ ৬৮ হাজার কোটি। যা কিনা বিশ্ব ব্যাংক থেকে ভারত যে টাকা করোনার জন্য ধার নিয়েছে তার ৮ গুণ। ভারত করোনা রুখতে যে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তার ৩০ শতাংশ। ৪৫ হাজার কোভিড টেস্টিং কিটের দামের সমান।”
আরও পড়ুন: আমি ভারতের মানুষের কতটা প্রিয় তা হিমাচলের রাস্তায় জেনে ছিলাম, স্মৃতিচারণ ‘Rose’-এর