জালালউদ্দিন রুমির 30 টি অসাধারণ বাণী বদলে দিতে পারে আপনার জীবন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি (১২০৭ – ১৭ ডিসেম্বর ১২৭৩) একজন ফার্সি কবি। তাকে মুহাম্মদ বালখী, মাওলানা রুমি, মৌলবি রুমি নামে ডাকা হলেও শুধু ‘রুমি’ নামে বেশি জনপ্রিয়। রুমি ছিলেন কবি, দার্শনিক, ইসলামী স্কলার, মিস্টিক, আধ্যাত্মিক গুরু,ইসলামী আইন বিশারদ ও মানব প্রেমী। রুমি তের শতকের একজন কবি ছিলেন। তার লেখা ‘মসনবী’ একটি চিরন্তন গ্রন্থ। বলা যেতে পারে একটি ‘মহাকাব্য।’ একসময় বহু ইরানি আবেগে বলতেন, কুরআন তাদের কাছে না আসলে তারা এই মসনবীকে কুরআনের মর্যাদা দিতেন।

রুমির কবিতা সারাবিশ্বে ব্যাপকভাবে বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তাঁর কবিতায় প্রভাবিত হয়েছেন বিশ্বের খ্যাতনামা বহু কবি। বিভিন্ন ধারায় রূপান্তরিত করা হয়েছে তাঁর সৃষ্টি। রুমিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের “সবচেয়ে জনপ্রিয় কবি” হিসাবে বিবেচনা করা হয়। একই সঙ্গে তাঁর কবিতা আজ সেখানে ‘বেস্ট সেলার’।

আরও পড়ুন : গদি হারাচ্ছেন ট্রাম্প, জেল হেফাজতে অর্ণব, মন খারাপ আরএসএস প্রেমীদের

এবার দেখে নেওয়া যাক তাঁর জীবন বদলে দেওয়া বাণীগুলি

মোমবাতি হওয়া সহজ কাজ নয়। আলো দেওয়ার জন্য প্রথম নিজেকেই পুড়তে হয়।

২. তোমার জন্ম হয়েছে পাখা নিয়ে, উড়ার ক্ষমতা তোমার আছে। তারপরও খোঁড়া হয়ে আছ কেন!

৩. তোমার হৃদয়ে যদি আলো থাকে, তাহলে ঘরে ফেরার পথ তুমি অবশ্যই খুঁজে পাবে।

৪. আমাদের চারপাশেই সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু এটা বুঝতে হলে বাগানে হাঁটতে হবে।

৫. প্রতিটি মানুষকে একটা নির্দিষ্ট কাজের জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং সেই কাজটি তার হৃদয়ে গ্রন্থিত আছে। প্রতিটি মানুষ ভেতর থেকে ঠিক সেই কাজটি করার জন্যই তাড়না অনুভব করে।

৬. যা কিছু হারিয়েছো তার জন্য দুঃখ করো না। তুমি তা আবার ফিরে পাবে, আরেকভাবে, আরেক রূপে।

৭. এটা তোমার আলোই, তোমার আলোই এই জগতকে আলোকিত করে।

৮. প্রদীপগুলো আলাদা, কিন্তু আলো একই।

৯. বৃক্ষের মতো হও, আর মরা পাতাগুলো ঝরে পড়তে দাও।

১০. ঘষা খেতে যদি ভয় পাও, তাহলে চকচক করবে কীভাবে?

১১. শব্দ দিয়ে প্রতিবাদ করো, কণ্ঠ উঁচু করে নয়। মনে রাখবে ফুল ফোটে যত্নে, বজ্রপাতে নয়।

১২. গতকাল আমি বুদ্ধিমান ছিলাম, তাই পৃথিবীটাকে বদলে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমি জ্ঞানী, তাই নিজেকে বদলে ফেলতে চাই।

১৩. প্রদীপ হও, কিংবা জীবনতরী, অথবা সিঁড়ি। কারো ক্ষত পূরণে সাহায্য করো।

১৪. শোক করো না। তুমি যাই হারাও না কেনো তা অন্য কোনো রূপে ফিরে আসবে।

১৫. তুমি সাগরে এক বিন্দু পানি নও। তুমি এক বিন্দু পানিতে গোটা এক সাগর।

১৬. কেউ যখন কম্বলকে পেটাতে থাকে তখন সেটা কম্বলের বিরুদ্ধে নয়, ধুলোর বিরুদ্ধে।

১৭. প্রেম আসলে কোথাও মিলিত হয় না। সারাজীবন এটা সবকিছুতে বিরাজ করে।

১৮. অন্যের জীবনের গল্প শুনে সন্তুষ্ট হয়ো না, নিজের পথ তৈরি করো, নিজের জীবন সাজাও।

১৯. সুন্দর ও উত্তম দিন তোমার কাছে আসবেনা, বরং তোমারই এমন দিনের দিকে অগ্রসর হওয়া উচিত।

২০. তুমি এ ব্রহ্মাণ্ডে গুপ্তধনের খোঁজ করছো, কিন্তু প্রকৃত গুপ্তধনতো তুমি নিজেই।

২১. স্রষ্টার কাছে পৌঁছানোর অজস্র পথ আছে। তার মাঝে আমি প্রেমকে বেছে নিলাম।

২২. যে কখনো বাড়ি ছাড়েনি, তার কাছ থেকে যাত্রার উপদেশ নিও না।

২৩. আকাশ কেবল হৃদয় দিয়েই ছোঁয়া যায়।

২৪. সিংহকে তখনই সুদর্শন দেখায় যখন সে খাবারের খোঁজে শিকারে বেরোয়।

২৫. শুধু তৃষ্ণার্ত পানি খুঁজে না, পানিও তৃষ্ণার্তকে খোঁজে।

২৬. নতুন কিছু তৈরি করো, নতুন কিছু বলো। তাহলে পৃথিবীটাও হবে নতুন।

২৭. যে বাতাস গাছ উপড়ে ফেলে, সেই বাতাসেই ঘাসেরা দোলে। বড় হওয়ার দম্ভ কখনও করো না।

২৮. সব কিছু জেনে ফেলাই জ্ঞান নয়, জ্ঞান হলো কী কী এড়িয়ে যেতে হবে বা বর্জন করতে হবে তা জানা।

২৯. দুই ব্যক্তি কখনও সন্তুষ্ট নয়- বিশ্বকে যে ঘুরে দেখতে চায় আর যে আরও জ্ঞান আহরণ করতে চায়।

৩০. যদি তুমি চাঁদের প্রত্যাশা কর, তবে রাত থেকে লুকিয়োনা। যদি তুমি একটি গোলাপ আশা কর, তবে তার কাঁটা থেকে পালিয়োনা, যদি তুমি প্রেমের প্রত্যাশা করো, তবে আপন সত্তা থেকে হারিওনা।

আরও পড়ুন : গান্ধী থেকে বার্নড শ, কার্লাইল থেকে হার্ট – সকলেই আপ্লুত মুহাম্মদের(PBUH) জীবনবোধে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest