ক্রুশের উপরে যিশু খ্রিস্টের শেষ ৭টি বাণী, যা আপনাকে অভিভূত করবে

যিশু বললেন, পিতঃ, ইহাদিগকে ক্ষমা কর; কেননা ইহারা কি করিতেছে তাহা জানে না’’
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

শান্তিরকে ক্রুশারোপিত করা হয়েছিল । যখন যীশু ক্রুশের উপরে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলেন, তখন তিনি সাতটি সংক্ষিপ্ত বাণী প্রদান করেছিলেন।

আরও পড়ুন: হযরত আলী (রাঃ) এর চিরন্তন বাণী, যা বদলে দিতে পারে আপনার জীবন

ক্রুশের উপরে যিশুর সর্বশেষ সাতটি বাণী:

১. প্রথম বাণী – ক্ষমা

‘‘পরে, মাথার খুলি নামক স্থানে গিয়া, তাহারা তথায় তাঁহাকে, এবং সেই দুই দুষ্কর্ম্মকারীকে ক্রুশে দিল, একজনকে তাঁহার দক্ষিণ পার্শ্বে, ও অন্য জনকে বাম পার্শ্বে রাখিল। তখন যিশু বললেন, পিতঃ, ইহাদিগকে ক্ষমা কর; কেননা ইহারা কি করিতেছে তাহা জানে না’’ (লূক ২৩:৩৩-৩৪)।

২. দ্বিতীয় বাণী – পরিত্রাণ

‘‘আর যে দুই দুষ্কর্ম্মকারীকে [অপরাধীকে] ক্রুশে টাঙ্গানো গিয়াছিল, তাহাদের মধ্যে একজন তাঁহাকে নিন্দা করিয়া বলিতে লাগিল, তুমি নাকি সেই খ্রিষ্ট, আপনাকে ও আমাদিগকে রক্ষা কর। কিন্তু অন্যজন উত্তর দিয়া, তাহাকে অনুযোগ করিয়া কহিল, তুমি কি ঈশ্বরকেও ভয় কর না, তুমি ত একই দন্ড পাইতেছ? আর আমরা ন্যায়সঙ্গত দন্ড পাইতেছি; কারণ যাহা যাহা করিয়াছি তাহারই সমুচিত ফল পাইতেছি: কিন্তু ইনি অপকার্য্য [মন্দ কার্য্য] কিছুই করেন নাই। পরে সে কহিল যীশু, আপনি যখন আপন রাজ্যে আসিবেন, তখন আমাকে স্মরণ করিবেন। তিনি তাহাকে কহিলেন, আমি তোমাকে সত্য বলিতেছি, অদ্যই তুমি পরমদেশে আমার সঙ্গে উপস্থিত হইবে’’ (লূক ২৩:৩৯-৪৩)।’ (লূক ২৩:৩৯-৪৩)।

৩. তৃতীয় বাণী – আবেগ

‘‘আর যিশুর ক্রুশের নিকটে তাঁহার মাতা, ও তাঁহার মাতার ভগিনী, ক্লোপার [স্ত্রী] মরিয়ম এবং মগ্দলিনী মরিয়ম, ইহাঁরা দাঁড়াইয়া ছিলেন। যীশু মাতাকে দেখিয়া, এবং যাঁহাকে প্রেম করিতেন, সেই শিষ্য নিকটে দাঁড়াইয়া আছেন দেখিয়া, মাতাকে কহিলেন, হে নারী, ঐ দেখ তোমার পুত্র! পরে তিনি সেই শিষ্যকে কহিলেন, ঐ দেখ তোমার মাতা! তাহাতে সেই দন্ড অবধি ঐ শিষ্য তাঁহাকে আপন গৃহে লইয়া গেলেন’’ (যোহন ১৯:২৫-২৭)।

৪. চতুর্থ বাণী – নিদারুণ যন্ত্রণা

‘‘পরে বেলা ছয় ঘটিকা হইতে নয় ঘটিকা পর্য্যন্ত সমুদয় দেশ অন্ধকারময় হইয়া রহিল। আর নয় ঘটিকার সময় যীশু উচ্চ রবে চীৎকার করিয়া ডাকিয়া, কহিলেন, এলী, এলী, লামা শবক্তানী? অর্থাৎ, ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, তুমি কেন আমায় পরিত্যাগ করিয়াছ?’’ (মথি ২৭:৪৫-৪৬)।

৫. পঞ্চম বাণী – দুঃখভোগ

‘‘ইহার পরে যিশু, সমস্তই এখন সমাপ্ত হইল জানিয়া, শাস্ত্রের বচন যেন সিদ্ধ হয়, এই জন্য কহিলেন, আমার পিপাসা পেয়েছে। সেই স্থানে সিরকায় পূর্ণ একটি পাত্র ছিল: তাহাতে লোকেরা সিরকায় পূর্ণ একটি স্পঞ্জ, এসোব নলে লাগাইয়া, তাঁহার মুখের নিকটে ধরিল’’ (যোহন ১৯:২৮-২৯)।

৬. ষষ্ঠ বাণী – প্রায়শ্চিত্ত

‘‘সিরকা গ্রহণ করিবার পর, যিশু বললেন, সমাপ্ত হইল’’ (যোহন ১৯:৩০)।

৭. সপ্তম বাণী – ঈশ্বরের প্রতি দায়িত্ব অথবা সমর্পণ

‘‘আর যিশু উচ্চ রবে চীৎকার করিয়া, কহিলেন, পিতঃ, তোমার হস্তে আমার আত্মা সমর্পণ করি : আর এই বলিয়া, তিনি প্রাণত্যাগ করিলেন’’ (লূক ২৩:৪৬)।

মৃত্যুর আগে দেওয়া তাঁর সর্বশেষ বিবৃতিতে যিশু পিতা ঈশ্বরের প্রতি তাঁর সম্পূর্ণ সমর্পণকে দেখিয়েছেন। খ্রিস্টানদের অধিকাংশই যিশুকে ত্রয়ীর তিন জন ব্যক্তির দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব ঈশ্বরপুত্রের অবতার রূপে পূজা করেন। যিশুর অনুগামীরা বিশ্বাস করতেন যে, তিনি মৃত্যুর পর পুনর্জীবন লাভ করেছিলেন এবং তারা যে সমাজ গঠন করেছিলেন তা-ই পরবর্তীকালে খ্রিস্টীয় চার্চে পরিণত হয়।

আরও পড়ুন: মানব জাতির উদ্দেশ্যে উচ্চারিত হরিচাঁদ ঠাকুরের বেশ কিছু অমর বাণী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest