আগামী ১৮ অগাস্ট থেকে খুলছে বেলুড় মঠ। সকাল ৮ থেকে ১১, বিকেল ৪ থেকে ৫.৪৫ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকবে বেলুড় মঠের দরজা। তবে কিছু শর্ত মেনেই ঢুকতে পারবেন দর্শনার্থীরা। দুটি ডোজের শংসাপত্র বা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর রিপোর্ট নিয়ে যেতে হবে। পরিচয়পত্রের সঙ্গে টিকাকরণ শংসাপত্র বা আরটিপিসিআর রিপোর্ট নিয়ে গেলে ঢুকতে পারবেন দর্শনার্থীরা। এছাড়া সেইসঙ্গে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি যেমন, মাস্ক পরা, থার্মাল স্ক্রিনিং, স্যানিটাইজার ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে দর্শনার্থীদের। মঙ্গলবার এক ভিডিও কনফারেন্সে জানানো হয় মঠ কর্তৃপক্ষের তরফে।
কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই যেহেতু বেলুড় মঠ খোলা হচ্ছে তাই দর্শনার্থী থেকে শুরু করে মঠের সকল কর্মীকে মানতে হবে কোভিড বিধি। মঠে প্রবেশের আগে ভক্ত এবং দর্শনার্থীদের কোভিডের প্রতিষেধক নেওয়া ২টি ডোজের শংসাপত্র এবং তার সঙ্গে নিজের পরিচয়পত্র অর্থাৎ আধার কার্ড, প্যান কার্ড অথবা ভোটার কার্ডের মধ্যে যে কোনও একটি দেখাতে হবে। এইগুলি যারা দেখাতে পারবেন তাঁরাই শুধুমাত্র মঠে প্রবেশ করতে পারবেন। অথবা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে এমন কোভিড নেগেটিভ শংসাপত্র দেখালে মঠের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন : দূরপাল্লার Train Ticket বুকিংয়ে নিয়ম বদল, জেনে নিন জরুরি তথ্য
করোনা পরিস্থিতির কারণে অন্যান্য ধর্মীয় স্থান এর মতই দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ ছিল বেলুড় মঠ। গত মাসে একদিন খোলা হলেও তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবশেষে দর্শনার্থীদের জন্য ফের খুলতে চলেছে বেলুড় মঠ । তবে প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। ভক্তরা প্রবেশ করতে পারবেন সকাল ৮ টা থেকে ১১ টা। বিকেল ৪ টে থেকে ৫.৪৫ এই সময়সীমার মধ্যে। এই সময়ের বাইরে ভক্ত এবং দর্শনার্থীরা মঠে থাকতে পারবেন না।
গত বছর ২৫ মার্চ করোনা আবহে লকডাউন ঘোষণার পর দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ হয়ে যায় মঠের দরজা। এরপর দেশজুড়ে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর ১৫ জুন থেকে ফের বেলুড় মঠের দরজা খোলে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য। এরপর মঠের প্রায় ৮০ জন সন্ন্যাসী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ফের একবার সাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। পরে চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি সব রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফের খোলা হয় মঠের দরজা। তবে দর্শনার্থীদের জন্য চালু হয় বেশ কিছু বিধিনিষেধ। সব মন্দিরে প্রবেশাধিকার থাকলেও মন্দিরে বসা কিংবা মঠ চত্বরে সময় কাটানো, আরতি দর্শন, ভোগ খাওয়া বন্ধ রাখা হয়েছিল। এরপর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর গত এপ্রিল মাসে বন্ধ হয়েছিল বেলুড় মঠের দরজা।
আরও পড়ুন : প্ল্যানচেট কি সত্যিই আত্মাদের নিয়ে আসে? কেন বিশ্বাস করতেন রবীন্দ্রনাথ?