মহালয়া হয়ে গেল মানে, পুজো দোরগোড়ায়। আর এই মহালয়ার বিশেষ তিথিতেই চক্ষুদান-পর্ব সারা হল শোভাবাজার রাজবাড়িতে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জ্বলে ওঠে বাতি। শুরু হয় চক্ষুদান। এই বাড়ির প্রথা অনুযায়ী, প্রথমে মায়ের বাঁ চোখ আঁকা হয়।এদিনই মাতৃপ্রতিমার পরনে ওঠে শাড়ি। প্রতিবারের মতো এবারও মাতৃপ্রতিমাকে মেরুন রঙের শাড়ি পরানো হয়। মাতৃপ্রতিমায় চক্ষুদানের পরই রাজবাড়িতে কার্যত শুরু হয়ে যায় পুজোর আমেজ।
দেখতে-দেখতে ২৬৫ তম বছরে পা দিল পুজোটি। ১৭৫৭ সাল থেকে এই পুজো হয়ে আসছে। ব্যবসায়ী শোভারাম বসাকের আউটহাউস কিনে বাড়ি তৈরি করেছিলেন রাজা নবকৃষ্ণ দেব। শোভারাম বসাকের নামের বাজার ছিল ‘শোভাবাজার’। নবকৃষ্ণ দেবের বাড়ির পরিচয়ও তাই দাঁড়িয়ে গেল ‘শোভাবাজার রাজবাড়ি’।
১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের পরে নবকৃষ্ণ দেব শোভাবাজার রাজবাড়িতে দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন। এই পুজোর ইতিহাসেই রয়েছে ইংরেজ-যোগ। রবার্ট ক্লাইভের পলাশীজয়ের উদযাপনেই আসলে শোভাবাজার রাজবাড়িতে দুর্গা পুজোর শুরু। সিরাজের বিরুদ্ধে ইংরেজদের জয়ে নবকৃষ্ণ দেব সাহায্য করেছিলেন। তাই ইংরেজদের জয় উদযাপন করতেই নবকৃষ্ণ তাঁর বাড়িতে দুর্গা পুজো শুরু করেন।