Does Planchet really bring spirit? Why did Rabindranath believe?

প্ল্যানচেট কি সত্যিই আত্মাদের নিয়ে আসে? কেন বিশ্বাস করতেন রবীন্দ্রনাথ?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

প্ল্যানচেটের কথা অনেকেই শুনেছেন৷ কেউ হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন, কেউ আবার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করেছেন৷ আপনি বলুনতো, হ্যাঁ, আপনাকেই জিজ্ঞেস করা হচ্ছে৷ প্ল্যানচেট করেছেন কখনও? বিশ্বাস করেন এর মাধ্যমে অশীরিরীর সঙ্গে কথা বলা যায়৷ জানেন কীভাবে সে জগতের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হয়? প্ল্যানচেটের অভিজ্ঞতা আছে?
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্ল্যানচেটে বিশ্বাসী ছিলেন৷ নিয়ম মেনে তিনিও তেনাদের সঙ্গে কথা বলেছেন একাধিকবার৷

আত্মার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে চাই একটি প্ল্যানচেট বোর্ড৷ গোল টেবিলের ওপর বোর্ডটি রেখে চারদিকে চারটি চেয়ারে চারজন বসেন৷ বোর্ডের এক প্রান্তে জ্বলে একটি মোমবাতি৷ এবার যে আত্মাকে ডাকতে চান, তার নাম নিয়ে মনে মনে ডাকতে থাকুন৷ চারজনের মধ্যে যাকে মিডিয়াম বা মাধ্যম বানাতে চাইবেন, সেই আত্মাকে তাঁর মধ্যে প্রবেশ করতে বলুন৷ অবশ্যই একে অপরের হাত ধরে থাকবেন৷ ব্যস! বাকি অভিজ্ঞতাটা নিজেকেই অর্জন করতে হবে৷ আরও একটি উপায়ে প্ল্যানচেট করা যায়৷ একটি সাদা কাগজে সমস্ত বর্ণ বা লেটার এবং সংখ্যা লিখে রাখুন৷ সেই কাগজের মাঝে একটি তামার কয়েন রাখতে হবে৷ কয়েনটির ওপর তিনজন নিজেদের তর্জনী আলতোভাবে স্পর্শ করিয়ে রাখুন৷ এবার যাকে এ দুনিয়ায় আনতে চান তার একটি ছবি সামনে রেখে তাকে ডাকতে থাকুন৷ অন্ধকার ঘরে যেন সেই সময় একটি মোমবাতির আলো বাদে আর কোনও আলো না থাকে৷

আরও পড়ুন : Mahasweta Devi: অপরাজেয় প্রতিবাদী মুখ মহাশ্বেতা দেবী

রবিঠাকুর পরলোকের সঙ্গে যোগের কথা কখনওই উড়িয়ে দেননি। অথচ তাকে ‘ধর্মবিশ্বাস’-এর সঙ্গেও জড়িয়ে ফেলেননি তিনি। এমনই কিছু দৃষ্টান্তও বেশ কিছু লেখায় উঠে আসে।শয়নকক্ষের মেঝেতে গোল হয়ে বসে উমা ও রবিঠাকুর। আত্মাকে প্ল্যানচেট করে এই ভূমিতে আনতে গেলে দরকার মিডিয়াম। আর সেই মিডিয়ামই হলেন রবিঠাকুরের বন্ধু ‘কাব্যগ্রন্থাবলী’-র সম্পাদক মোহিতচন্দ্র সেনের কন্যা উমা। প্রশ্ন করতেন রবিঠাকুর আর উত্তর দিতেন পরলোক থেকে আসা অশরীরী। উমার মাধ্যমে। আসরে দর্শকের তালিকায় থাকতেন অবনীন্দ্রনাথ থেকে নন্দলাল বসু, মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়, মীরা দেবী এবং আরও অনেকে। কখনও জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে আবার কখনও শান্তিনিকেতনেই প্রেতযোগ স্থাপন করতেন রবীন্দ্রনাথ।

১৩৫২ সালের বৈশাখ আষাঢ় মাসে প্রকাশিত বিশ্বভারতী পত্রিকায় উর্মিলা দেবীর একটি রচনায় রবিঠাকুর ও তাঁর মেজদিদি অমলা দাসের একটি কথোপকথনের উল্লেখে আছে। রবিঠাকুর যেখানে মেজদিদিকে মৃণালিনী দেবী সম্পর্কে বলেছেন, “মানুষ মরে গেলেই যে একেবারে হারিয়ে যায়, জীবিত প্রিয়জনদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, সেকথা আমি বিশ্বাস করি না”। বলা হয়, মৃণালিনী দেবীর মৃত্যুর পরে বহুবার তাঁকে প্ল্যানচেট করে এনেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

প্রিয় নতুন বৌঠানকেও যে কয়েকবার তিনি এনেছিলেন তার উল্লেখও বেশ কিছু জায়গায় পাওয়া যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক এই যে, রবিঠাকুরের জীবনের সবচেয়ে অন্তরঙ্গ এই দুই মহিলার সঙ্গে প্ল্যানচেটের উল্লেখ থাকলেও কথোপকথনের লিপিবদ্ধ রূপ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে অমিতাভ চৌধুরীর লেখা ‘একত্রে রবীন্দ্রনাথ’-এ উল্লেখ আছে এমন অনেক বিস্তৃত প্রেতযোগের। সেখানে রবীন্দ্রনাথের আটটি ভৌতিক খাতার সন্ধান লেখক পেয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : Audio Book: মন খারাপ? শুনুন, তারাপদ রায়ের লেখা এই মজার গল্প

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest