Mahesh Rath Yatra: এবারও গড়াবে না ৬২৫ বছরের মাহেশের রথের চাকা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

করোনা (coronavirus) আবহে এবারও বন্ধ করা হল মাহেশের রথযাত্রা (Mahesh Rathyatra)। পুরীর পর মাহেশে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। ৬২৫ বছরের প্রাচীন এই রথযাত্রা গতবছরও বন্ধ ছিল। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংক্রমণের আশঙ্কায় এবার মন্দিরপ্রাঙ্গণেই টানা হবে রথ। ঠিক হয়েছে, অস্থায়ী ভাবে জগন্নাথ মন্দিরের পাশে তৈরি হবে মাসির বাড়ি। সেখানেই করোনাবিধি মেনেই সমস্ত অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হবে।

এই লোহার রতি বয়স ১৩৬ বছর। ১৩৬ বছর আগে সেই যুগের কুড়ি হাজার টাকা ব্যয় শ্যামবাজারের বসু পরিবার এর সদস্য হুগলির দেওয়ান কৃষ্ণ চন্দ্র বসু এই লোহার রতি তৈরি করে দেয়। এই রথ ৫০ ফুট উঁচু। রয়েছে ১২টি লোহার চাকা, ২টি তামার ঘোড়া। ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম রথযাত্রা, জগন্নাথ সামনে যে মাঠ সেই মাঠে তেই প্রতি বছর বসে মেলা এ বছর সে মেলা বসবে না।

এর আগে কাঠের রথ ছিল। বারবার ভেঙে যাওয়ার জন্যই এই লোহার রথ তৈরি হয়। ইতিহাস বলে সদক ধ্রুবা নন্দ ব্রহ্মচারী স্বপ্নাদেশে গঙ্গা থেকে ভেসে আসা নিম কাঠ দিয়েই এই জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা মূর্তি তৈরি করেন। চৈতন্যদেব মাহেশকে ‘নব নীলাচল’ আখ্যা দেন।  মাহেশের রথের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু বছরের ইতিহাস। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাধারানী উপন্যাসে এই মাহেশের রথের উল্লেখ আছে। করোনার কারণে গত বছর রথযাত্রা হয়নি। এবছর আগামী ১২ জুলাই রথযাত্রা। স্নানযাত্রা ২৪ জুন।

আরও পড়ুন:  Buddha Purnima 2021: বুদ্ধের এই ১০ বাণী মনে রাখলে জীবন হবে সফল, শান্তিময়

কথিত চতুর্দশ শতাব্দীতে ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী নামে এক ব্যক্তি পুরীতে তীর্থ করতে যান। তাঁর ইচ্ছে ছিল জগন্নাথদেবকে ভোগ খাওয়ানোর। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষ তাতে বাঁধা দেন। মনের দুঃখে ধ্রুবানন্দ অনশন করে নিজের প্রাণ বিসর্জন দেবেন বলে ঠিক করেন।অনশনের তৃতীয় দিনে ধ্রুবানন্দ স্বপ্নাদেশ পান বাংলাতে ফিরে গিয়ে হুগলী নদীর ধারে মাহেশ বলে একটা জায়গায় জগন্নাথ মন্দির স্থাপন করার।আদেশে এও বলা হয় যে ঠিক সময় মত নদীতে ভেসে আসা এক নিম কাঠ পাবেন ধ্রুবানন্দ, সেই কাঠ দিয়ে জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রা’র মুর্তি বানিয়ে নিজে হাতে তাঁদের ভোগ খাওয়াবেন। ধ্রুবানন্দ তাই করেন।

বর্তমান মন্দিরটি ১৭৫৫ সালে তৈরি করেন কলকাতার নারায়ণ চন্দ্র মল্লিক নামে এক ভক্ত। বর্তমান রথটি ১৮৮৫ সালে কৃষ্ণরাম বসু নামে এক ভক্ত মার্টিন বার্ন কোম্পানিকে দিয়ে তৈরি করান। রথটি বাংলার নবরত্ন মন্দিরের আদলে তৈরি। উচ্চতায় ৫০ ফুট এবং ওজনে ১২৫ টন। মোট ১২ টা চাকার ওপর দাঁড় করানো।

আরও পড়ুন: বুধবার থেকে খুলছে তারাপীঠ মন্দির, মেনে চলতে হবে এই সমস্ত বিধি নিষেধ…

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest