ফুরফুরা শরীফের দাদা হুজুর কেবলা (রঃ) এর কিছু কালজয়ী বাণী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বর্তমান সময়ে পরম করুণাময়ের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। ক্ষুদ্র স্বার্থের কারণে মানুষ ন্যায়-অন্যায়ের মধ্যে ফারাক করতে পারছে না। সাধারণ মানুষ তো দূর, আলেম উলামাদের মধ্যেও বাড়ছে লোভ। ক্ষমতার লোভ, পদের লোভ, সম্পদের লোভ তাদের মোহগ্রস্ত করে তুলছে। এমন অবস্থায় ফুরফুরা শরীরের দাদা হুজুরের কালজয়ী বাণী মানুষকে দিশা দেখাতে পারে। লোভ ও হিংসার নিকষ অন্ধকার থেকে হৃদয়কে আলোয় পূর্ণ করে দিতে পারে।

দেখে নিন মোজাদ্দেদে জামানের কিছু কালজয়ী বাণী, সৌজন্যে (Furfura Sharif)

  1. জীবিত কি মৃত পীরের সুরত হাজের নাজের জানিয়া ধ্যান করা হারাম, যাহারা করে তাহারা বেঈমান।
  2. সুদ খাওয়া হারাম, কম হউক কি বেশি হউক, বিশেষ ওজর ব্যতীত সুদ দেওয়াও হারাম। সুদ দেওয়া ও সুদ খাওয়া একই প্রকার গোনাহ।যদি কেহ সুদ খায়, কিংবা সুদখোরের দাওয়াত খায় ও খয়রাত লয়, সে যেন আমার মুরিদ বা খলিফা বলিয়া পরিচয় না দেয়। তাহার নিকট কেহ মুরিড হইবেন না।
  3. বিবাহে বারুদ পোড়ানো, লাঠি খেলা, কলের গান, সুর দিয়া পুঁথি পড়া ইত্যাদি কার্য করিবেন না। ফজুলভাবে অর্থ ব্যয় করিবেন না, উহা হারাম।
  4. যথাশক্তি ব্যবসা, বাণিজ্য, কৃষি, শিল্প কার্য ইত্যাদি অবলম্বন করিয়া হালাল উপার্জন করিবে। খয়রাত গ্রহণ করার উপর নির্ভর করিবে না। শক্তি থাকা সত্বেও অন্যের নিকট খয়রাত চাহিয়া লওয়া হারাম।
  5. ওয়াজ নসিহত আল্লাহ ওয়াস্তে করিবেন। কিছু লিল্লাহ দিলে লওয়া জায়েজ আছে। অনেক স্থানের লোকেরা ভালমন্দ, সুদখোর, ঘুষখোর ইত্যাদি চাঁদা জমা করিয়া ওয়াজকারীদিগকে দেয় উহা না-জায়েজ ।
  6.  অনেক স্থানে দেখা যায়, পীরের ছেলে কিছু জানুক বা না জানুক পীর সাজিয়া বসে ও মুরীদ করিতে থাকে অন্য কোন ভাল পীরের নিকট সাধারণকে যাইতে নিষেধ করে। আমার ভয় হয়, আমার মৃত্যুর পর আমার পুত্রদের মধ্যে ঐরূপ হইয়া পড়ে নাকি। অতএব আমার পুত্রদের মধ্যে যাহারা শরীয়ত মোতাবেক আমল করিবে ও চলিবে এবং তালিম ও শিক্ষা দিবে, তাহাদের অনুসরণ করিবেন।
  7. আল্লাহ ব্যতীত কাহাকেও ইবাদতের সেজদা করা কুফর। তাহিয়াতের সেজদা করা হারাম। এই হারামকে যাহারা মোবাহ জানে, তাহারা কাফের।
  8. আমি আলেম ও শিক্ষিত লোকদিগকে মহব্বত ও তাজিম করিয়া থাকি আপনারাও তাজিম ও মহব্বত করিবেন। যে আলেম ও সাধারণ লোক শরীয়ত মোতাবেক চলেন, তাহাদিগকে কেহ তুচ্ছ জানিবেন না। তুচ্ছ জানিলে আল্লাহ তায়ালা ও হযরত নবী (সাঃ) নারাজ হইবেন; যেহেতু আলেমগণ নবীগণের ওয়ারিছ।
  9. • মিলাদ শরীফে কেয়াম করা মোস্তাহ্‌সান। যদি কেহ মৌলুদ শরীফ পাঠকালে কেয়াম করে তবে কেহ তাহাকে জবরদস্তি করিয়া বসাইবেন না। যদি কেহ বসিয়া তাওল্লাদ শরীফ পড়, তবে তাহাকেও কেহ জোর করিয়া উঠাইবেন না।
  10. আলেম ও পীর সাহেবগণ সাবধান থাকিবেন। শয়তান জীবিত আছে। সে পীরে পীরে ও আলেমে আলেমে বিবাদ ও দলাদলি লাগাইয়া ইসলামকে বিনষ্ট করিতে চেষ্টা করে। আল্লাহ্‌ পানা দিন।

হজুরের আরও বহু বাণী রয়েছে, যা চিন্তাশীল যেকোনও মুসলিমের পাথেয় হতে পারে। এখানে তার কিছু মাত্র আলোচিত হল।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest