লোকনাথ বাবার অমর বাণী, যা আপনার জীবন বদলে দেবে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বাবা লোকনাথ শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন জন্মাষ্টমীতে ১৭৩০ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ আগস্ট কলকাতা থেকে কিছু দূরে ২৪ পরগণার কচুয়া গ্রামে একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম রামনারায়ণ ঘোষাল এবং মাতা কমলাদেবী। তিনি ছিলেন তার বাবা-মায়ের ৪র্থ পুত্র।

বাবা লোকনাথের আধ্যাত্মিক শক্তি সম্বন্ধে অনেক কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। কেউ কেউ বলেন, তিনি জাতিস্মর; দেহ হতে বহির্গত হতে এবং অন্যের মনের ভাব অবলীলায় তিনি জানতে পারতেন।এছাড়াও, অন্যের রোগ নিজ দেহে এনে রোগীকে রোগমুক্ত করতে পারতেন।

আরও পড়ুন: আজ গুরুনানক জয়ন্তী, জেনে নিন স্বর্ণ মন্দির সম্পর্কে এই চমকপ্রদ তথ্যগুলি…

লোকনাথ বাবার জন্মস্থান নিয়ে শিষ্যদেরও ভেতরে বিতর্ক আছে। নিত্যগোপাল সাহা এ বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন ও রায় অনুযায়ী তার জন্মস্থান কচুয়া বলে চিহ্নিত হয়। যদিও অনেকে মনে করেন তার জন্মস্থান বর্তমান উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার চাকলা। যা চাকলাধাম নামে লোকনাথ ভক্তদের নিকট পরিচিত।

এখন দেখে নেওয়া যাক বাবার কিছু অমর বাণী

  • সত্যের মতো পবিত্র আর কিছুই নেই । সত্যই স্বর্গ গমনের একমাত্র সোপান সরূপ, সন্দেহ নেই ।
  • অর্থ উপার্জন করা তা রক্ষা করা আর তা ব্যয় করবার সময় বিষম দুুঃখ ভোগ করতে হয়। অর্থ সকল অবস্থাতেই মানুষকে কষ্ট দেয়। তাই অর্থ ব্যয় হলে বা চুরি হলে তার জন্য চিন্তা করে কোনো লাভই হয়না।
  • আমিও তোদের মতো খাই-দাই, মল-মূত্র ত্যাগ করি। আমাকেও তোদের মতোই একজন ভেবে নিস। আমাকে তোরা শরীর ভেবে ভেবেই সব মাটি করলি। আমি যে কে তা আর কাকে বোঝাবো, সবাই তো ছোট ছোট চাওয়া নিয়েই ভুলে রয়েছ। আমার প্রকৃত আমি কে।
  • গুরু প্রদত্ত মন্ত্রের শুদ্ধাশুদ্ধ বিচার করা শিষ্যের কর্ম নয়। গুরু যা বলেছেন বিনা দ্বিধায় তা জপ করে যাওয়াই শিষ্যের কর্তব্য।
  • গর্জন করবি, কিন্তু আহাম্মক হবি না। ক্রোধ করবি, কিন্তু ক্রোধান্ধ হবি না।
  • ধার্মিক হতে চাইলে প্রতিদিন রাত্রে শোবার সময় সারাদিনের কাজের হিসাব নিকাশ করবি অর্থাৎ ভালো কাজ কী করেছিস এবং মন্দ কাজ কী করেছিস, সেটা ভেবে মন্দ কাজ যাতে আর না করতে হয় তার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবি।
  •   ইচ্ছাই হোক, অনিচ্ছাই হোক, যে সন্তান মায়ের আদেশ পালন করে ভগবান তার মঙ্গল করেন।
  • যে ব্যক্তি কৃতজ্ঞ, ধার্মিক, সত্যাচারী, উদারচিত্ত,ভক্তিপড়ায়ন জিতেন্দ্রীয়, মর্যাদা রক্ষা করতে জানে,
    আর কখনো আপন সন্তানকে পরিত্যাগ করেন না, এমন ব্যক্তির সঙ্গেই বন্ধুত্ব করবি।
  • যারা ধর্ম নেই মনে করে সাধুগণকে উপহাস করে আর ধর্মের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করে, তাঁরা নিঃসন্দেহে বিনাশপ্রাপ্ত হয়।
  •  যে ব্যক্তি সকলের সুহৃদ, আর যিনি কায়মনবাক্যে- সকলের কল্যাণ সাধন করেন,তিনিই যথার্থ জ্ঞানী।
  • রণে বনে জলে জঙ্গলে যখনি বিপদে পড়িবে আমাকে স্বরণ করিও,আমিই রক্ষা করিব ।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest