মূলত বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীরা রাস উৎসব (Raas Yatra) পালন করেন। বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় শ্রীকৃষ্ণের (Krishna) প্রকৃতির উৎসবই রাস। এই বিশেষ উৎসবে গোপিনীদের সহযোগে রাধা-কৃষ্ণের (Radha -Krishna) পুজো করা হয়। পুরাণে (Mythology) রাস উৎসবের (Raas Utsav) উল্লেখ আছে। তবে এক্ষেত্রে রয়েছে বিভিন্ন মতভেদ।
অনেকে মনে করেন, ঈশ্বরের সঙ্গে আত্মার মহামিলনই রাস। পুরাণে শারদ রাস ও বসন্ত রাসের উল্লেখ পাওয়া যায়। আবার মনে করা হয় ‘রস’ থেকেই এসেছে ‘রাস’। যেটি সনাতন ধর্মালম্বীদের একটি বাৎসরিক উৎসব। শ্রীকৃষ্ণের ব্রজলীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় উৎসব।
রাস পূর্ণিমায় লক্ষ্মীর পুজো করা হয়। কার্তিক পূর্ণিমার দিনে গঙ্গা স্নান, দীপদান, যজ্ঞ ও ঈশ্বর আরাধনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এদিন দান-পুণ্য ও ধর্মীয় কাজ বিশেষ ফলদায়ী। চলতি বছর ১৯ নভেম্বর কার্তিক পূর্ণিমা।
পূর্ণিমা তিথি শুরু- ১৮ নভেম্বর দুপুর ১২টা ১ মিনিট।
পূর্ণিমা তিথি সমাপ্ত- ১৯ নভেম্বর দুপুর ২টো ২৮ মিনিট পর্যন্ত।
পূর্ণিমা তিথিতে স্নানের শুভক্ষণ- ১৯ নভেম্বর দুপুর ২টো ২৮ মিনিট পর্যন্ত।
দান করার শুভ সময়- ১৯ নভেম্বর সূর্যোদয়ের আগে পর্যন্ত।
উল্লেখ্য উদয়া তিথির কারণে পুরো দিন পূর্ণিমা তিথি থাকবে। রাস পূর্ণিমার দিনে তেলের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা হয়। মনে করা এদিন দেবী-দেবতারা স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আসেন এবং গঙ্গা স্নান করেন।
রাস পূর্ণিমার মাহাত্ম্য
সমস্ত পূর্ণিমার মধ্যে রাস পূর্ণিমাকে সর্বাধিক পবিত্র মনে করা হয়। এ দিন দান-পুণ্যর কাজ বিশেষ ফলদায়ী। রাস পূর্ণিমার দিনে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের আরাধনা করা হয়। কেউ কেউ আবার এদিনই তুলসি ও শালিগ্রামের বিবাহ করান। শাস্ত্র মতে এ দিন গঙ্গা বা কোনও পবিত্র নদীতে স্নান করলে বিষ্ণুর আশীর্বাদে ব্যক্তি মোক্ষ লাভ করে।