আজ গুড ফ্রাইডে, এই দিনের নেপথ্যে কাহিনি জানতেন?

গুড ফ্রাইডে মূলত খ্রিষ্টানদের দ্বারা পালিত একটি ধর্মীয় ছুটির দিন। এই উৎসবের অন্য নাম হোলি ফ্রাইডে বা গ্রেট ফ্রাইডে।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

গুড ফ্রাইডে মূলত খ্রিষ্টানদের দ্বারা পালিত একটি ধর্মীয় ছুটির দিন। এই উৎসবের অন্য নাম হোলি ফ্রাইডে বা গ্রেট ফ্রাইডে। কেউ কেউ একে ব্ল্যাক ফ্রাইডেও বলে থাকেন। যিশু খ্রিষ্টের ক্রুসবিদ্ধকরণ, মৃত্যু ও সমাধিমন্দির থেকে তাঁর পুনরুজ্জীবনের স্মরণে এই দিনটি পালিত হয়।

খ্রিস্টের ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার দিনকে কেন গুড ফ্রাইডে বা শুভ শুক্রবার বলা হবে তা নিয়ে প্রশ্নও ওঠে৷ এমন যন্ত্রণাদায়ক অবসানের মধ্যে ‘শুভ’ কোথায়? জার্মান-সহ বেশ কিছু জায়গায় এই দিনটিকে বেদনাময় শুক্রবার বলা হয়।

তবে এমন নামকরণের একটা ব্যাখ্যা রয়েছে৷ খ্রিস্টধর্মের আদি পর্বের এই কাহিনি নিয়েও উপকথা জড়িয়ে রয়েছে। ইংরেজি নামটির একটি ব্যাখ্যা হল, এটি গড’স ফ্রাইডে’র পরিবর্তিত রূপ। আবার, পবিত্র বা ইংরেজি হোলি অর্থে প্রাচীন ইংরেজিতে ‘গুড’ শব্দটি ব্যবহৃত হত, নামটা সেখান থেকেও এসে থাকতে পারে।

আরও পড়ুন : করোনা নিয়ে ৭ দিনের মাথায় হাসপাতালে ভরতি সচিন

কাঁটার মুকুট তাঁর মাথায়, বয়ে নিয়ে চলেছেন ভারী ক্রুশকাঠ। আর তাতেই ক্রুশবিদ্ধ করা হবে তাঁকে। রাজদ্রোহের অভিযোগে তাঁকে বন্দি করা হয়েছে। তিনি নাজারেথের যিশু। তিনি ঈশ্বরপুত্র। কিন্তু সেই সময়ের শাসক বোঝেনি তাঁর মহিমা। তাঁকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করেছিল। তাই ঠিক করেছিল, প্রতিদ্বন্দ্বীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে হবে। প্রতি ইস্টারের আগের শুক্রবার হল গুড ফ্রাইডে (Good Friday)। গোটা বিশ্বের খ্রিস্ট সম্প্রদায়ের মধ্য়ে এই দিনটি যথোচিত মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়। এদিন অনেকেই উপবাস করেন।

গুড ফ্রাইডে-তে যিশু ক্রুশবিদ্ধ হন এবং রবিবার তাঁর রেজারেকশান বা পুনরুত্থান ঘটে। যিশুর বিরুদ্ধে রাজদ্রোহের অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগেই তাঁকে ধরা হয়। শাস্তি দেওয়া হয়। শাস্তির দিন যিশুকে নিজেকেই নিজের ক্রুশটি পাহাড়ে বয়ে নিয়ে যেতে হয়েছিল। তাঁকে ক্রুশ বহনে সাহায্য করেছিলেন সিমন। বিদ্ধ হওয়ার পরে ছ’ঘণ্টা যিশু ক্রুশে যন্ত্রণা ভোগ করেন। তৃতীয়দিন, রবিবার তিনি পুনরুত্থিত হন।

যিশুর বিচারের শাস্ত্রীয় বিবরণীগুলি থেকে জানা যায় যে তাঁকে সম্ভবত শুক্রবারে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। দুটি ভিন্ন গোষ্ঠীর মতে গুড ফ্রাইডের বছরটি হল ৩৩ খ্রিস্টাব্দ। সালটি নিয়ে দ্বিমত আছে। তবে তা হয় ৩৩, না হয় ৩৪ খ্রিস্টাব্দ। মাসটি এপ্রিলই। আদি তারিখ ছিল ৩।

খৃষ্টীয় ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী যিশু খ্রিষ্টের ক্রুশবিদ্ধকরণ, মৃত্যু ও সমাধিমন্দির থেকে তাঁর পুনরুজ্জীবনের স্মরণে এই উৎসবটি পালিত হয়। পবিত্র সপ্তাহে ইস্টার রবিবারের আগের শুক্রবারে প্যাস্কাল ট্রিডামের অংশ হিসেবে এই উৎসব পালিত হয়। অনেক সময়ই গুড ফ্রাইডে ইহুদিদের উৎসব পাসওভারের সঙ্গে একই দিনে উদযাপিত হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন : তাইওয়ানে ট্রেন দুর্ঘটনা: নিহত ৩৬, মৃত্যু সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest