Pitru Paksha 2021: Who Can Do Shradh At Pitru Paksha

পিতৃপক্ষে কারা শ্রাদ্ধকর্মের অধিকারী জানেন কি ?জেনে নিন নিয়ম

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

হিন্দু শাস্ত্রে ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা থেকে আশ্বিন মাসের অমাবস্যা পর্যন্ত সময়কে পিতৃপক্ষ বলা হয়। সমস্ত হিন্দু পরিবারেই পিতৃ পূজন হয়।পিতৃপক্ষের সময়কাল ১৬ দিন। মাঝেমধ্যে এই দিন কম-বেশিও হয়ে থাকে। চলতি বছর ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর, অর্থাৎ ১৭ দিন পিতৃপক্ষ থাকবে। কিন্তু ২৬ সেপ্টেম্বর শ্রাদ্ধের কোনও তিথি না-থাকায় শ্রাদ্ধ কর্ম ১৬ দিনই করা সম্ভব হবে। অনেক সময় তিথির কারণে দুটি শ্রাদ্ধ একই দিনে পালিত হয়।

পুরাণ অনুযায়ী জন্মের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তির ওপর তিন ধরনের ঋণ— পিতৃ ঋণ, দেব ঋণ, ঋষি ঋণ দেখা যায়। এর মধ্যে পিতৃ ঋণকে সর্বোপরি মনে করা হয়।এই ঋণ থেকে মুক্তির জন্য পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধ করা আবশ্যক। এমন করলে পুত নামক নরকের কষ্ট থেকে পূর্বপুরুষরা মুক্তি পান।

পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা ভরে যে দান-কর্ম করা হয়, তা-ই শ্রাদ্ধ। পূর্বপুরুষদের স্মৃতিতে ভোজন দান ছাড়া, গাছ লাগানো এবং তাঁর দেখাশোনা করা, অসহায়ের সাহায্য করা, কোনও রোগীর সাহায্য করা, বস্ত্র দানও শ্রাদ্ধ কর্মেরই অন্তর্ভূক্ত।প্রত্যেক মাসের অমাবস্যাকে পূর্বপুরুষদের দুপুর মনে করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে এদিন দুপুরে ভোজন করার নিয়ম থাকে। আবার প্রতি অমাবস্যাকে পূর্বপুরুষের তিথি মনে করে অন্ন দানের নিয়ম রয়েছে।

কোনও শুভ কাজ, গ্রহণ, পূর্বপুরুষদের মৃত্যু তিথি, তীর্থ যাত্রায় শ্রাদ্ধ করাকে কল্যাণকারী মনে করা হয়। কন্যা রাশিতে সূর্যের উপস্থিতির সময় শ্রাদ্ধ বা কন্যা-গত বা কনাগত করার নিয়ম রয়েছে।শ্রাদ্ধ করার প্রথম অধিকার সাধারণত মৃত ব্যক্তির জ্যেষ্ঠ পুত্রের রয়েছে। তবে সে না-থাকলে বা শ্রাদ্ধকর্ম করতে না-চাইলে ছোট ছেলে শ্রাদ্ধের অধিকারী হয়।

আবার কোনও পরিবারের পুত্রদের মধ্যে বিভাজন হয়ে গেলে, সেই পরিবারের সমস্ত পুত্রকেই পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধকর্ম করা উচিত। পুত্র না-থাকলে পৌত্র বা প্রপৌত্রও শ্রাদ্ধ করতে পারেন। আবার পুত্র না-থাকলে, মৃত ব্যক্তির ভাই শ্রাদ্ধ করতে পারে।

মহিলারাও করতে পারেন শ্রাদ্ধ

কিছু কিছু গ্রন্থে মহিলাদেরও শ্রাদ্ধ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। যেমন পুত্র না-থাকলে, ভাইয়ের আগে মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর শ্রাদ্ধ করার অধিকার রয়েছে।হিন্দুধর্ম অনুযায়ী, মৃত পূর্বপুরুষের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যে কেউ তর্পণ করতে পারেন। সাধারণত পুরুষরাই পিণ্ডদান করলেও মহিলারাও কিন্তু সমান ভাবে পিণ্ডদানের অধিকারী। পুরাণ অনুযায়ী, সীতা দশরথের মৃত্যুর পর রামের অনুপস্থিতিতে তাঁকে পিণ্ডদান করেছিলেন।

অনেকেই আবার বলেন যে শাস্ত্রে কোথাও লেখা নেই যে মেয়েরা তর্পণ করতে পারবে না। শ্রাদ্ধে যেমন শ্রদ্ধা জানানো হয়, তর্পণও তা-ই। মহাভারতেও মেয়েদের তর্পণের নিদর্শন আছে। মহাভারতে স্ত্রী পর্বে কৌরব রমণীদের তর্পণ করার বিশেষ উল্লেখ আছে।

আবার অবিবাহিত থাকলে মৃত ব্যক্তির মা এবং বোনও শ্রাদ্ধ করতে পারেন। পুত্র শ্রাদ্ধ কর্ম করতে না-পারলে পুত্রবধূ তা করতে পারেন।পুত্র ছাড়া পৌত্র ও প্রপৌত্রও পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধ কর্ম করার অধিকারী। পৌত্র বা প্রপৌত্র না-থাকলে, ভাই, ভায়ের সন্তানরাও শ্রাদ্ধ করার অধিকারী।এ ছাড়াও মৃত ব্যক্তির মেয়ের পুত্র অর্থাৎ দৌহিত্র পূর্বপুরুষদের উদ্ধার করতে পারে। আবার ভাগ্নেও শ্রাদ্ধকর্ম করার অধিকারী।

দুপুরের আগে শ্রাদ্ধ কর্ম সম্পূর্ণ করে নেওয়া উচিত। শাস্ত্র মতে সঙ্গব কালে শ্রাদ্ধ হয়। পুরো দিনকে ৫টি অংশে ভাগ করলে দ্বিতীয় অংশকে সঙ্গব কাল বলা হয়। অর্থাৎ প্রাতঃরাশ থেকে মধ্যাহ্নভোজের সময় পর্যন্ত সুবিধা অনুযায়ী শ্রাদ্ধ করা যেতে পারে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest