অঘোরী সন্ন্যাসী কারা? তাদের জীবনের উদ্দেশ্যে কি? জেনে নিন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

অঘোরী নামটা শুনলেই অনেকে ভয় পায়। অনেকেই মনে করেন তারা নাকি কালো জাদু করে, তাদের সান্নিধ্যে আসলে নাকি নেমে আসতে পারে ঘোর বিপদ। কেউ কেউ আবার অঘোরী সন্ন্যাসী বলে যে কেউ আছে, তার অস্তিত্ব পর্যন্ত বিশ্বাস করেন না, তাদের ভন্ড বলে মনে করেন।শ্মশান নিবাসী, গায়ে ভস্ম, জটাধারী চুল, অর্ধ বা কখনো পুরো নগ্ন, এরকমই ভয়াবহ চেহারা অঘোরী সন্ন্যাসীদে। ভদ্র সমাজে তারা অস্পৃশ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু কারা এই অঘোরী সন্ন্যাসী? শ্মশানে গাঁজা, মদের নেশায় চুর হয়ে তারা কি বা পেতে চায়?

আরও পড়ুন : ইহুদি, জিউ, ইসরসাইলি আসলে সমার্থক, জেনে নিন এই শব্দগুলির আসল পরিচয়

অ+ঘর থেকে এসেছে অঘোরী শব্দ টি, অর্থাৎ তারা ঘর বাড়ি হীন, তাই তারা অঘোরী। সেই কারণেই তারা শ্মশানে থাকেন, অঘোরী শব্দটির আরও একটি মানে হল অন্ধকারের বিলয়, ভয়হীনতা কেও অঘোরী বলা যেতে পারে, অর্থাৎ অঘোরী সন্ন্যাসীরা কোনো কিছুকেই ভয় পায়না।অঘোরী দের জীবনের লক্ষ হল সরল হয়ে বেঁচে থাকা। তারা মনে করেন সরল হয়ে বেঁচে থাকা অত্যন্ত কঠিন।

263BB75900000578 0 image a 35 1425288950473

আপনি আমি যে জিনিস বা যাকে দূর ছাই করব তাকেও আপন করে নিতে পারে এই অঘোরী সন্ন্যাসীরা। যেমন তারা পচা গলা, পশুর মাংস বা শব দেহের ভক্ষণ করতে পারে অতি সহজেই। যা কোনও সাধারণ মানুষের পক্ষে একেবারেই সম্ভব নয়। খাওয়া দাওয়া নিয়ে তাদের কোনো বাছ বিচার নেই, তারা মূত্রপান ও করেন। পবিত্র অপবিত্র বলে যে কিছু হয়, তা তারা মানেন না। তারা শব দেহ আরাধনা করেন, এবং শব দেহের হাড় নিজেদের শরীরে প্রায় ধারণ করে থাকেন। তারা মনে করেন সব কিছুতেই ভগবান আছেন।নরকপাল কে তারা পানপাত্র হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন।

263BB76500000578 0 image a 23 1425288873147

অঘোরী সন্ন্যাসীরা কোনো কালো জাদু করেন না। উল্টে তারা মনে করেন যারা কালো জাদু করে তাদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। তাদের জীবনের মূল সাধনা, মোক্ষ লাভ করা, অর্থাৎ জীবন মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি লাভ করা। তারা শিবের ভক্ত হয় এবং সাথে সাথে মা কালি ও কাল ভৈরবের আরাধনা করেন। মোক্ষ লাভ করার পর তারা হিমালয়ে গিয়ে বিলীন হয়ে যায়।

কুম্ভের মেলায় বহু অঘোরী সন্ন্যাসী কে দেখা যায়। তবে যুগের হাওয়া এখন বদলেছে, কে আসল কে নকল বোঝা মুশকিল। কোথাও আবার ভন্ড কে মানুষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছে আবার কোথাও সাধুদের কপালে জুটছে চরম অপমান। বিশ্বাসের সাথে সাথে যাচাই করে নেওয়া টা খুব প্রয়োজন।বিশ্বাসের সাথে সাথে যাচাই করে নেওয়া টা খুব প্রয়োজন।

আরও পড়ুন : জেনে নিন মতুয়া সম্প্রদায় ও মানবতার জন্য গুরুচাঁদ ঠাকুরের ত্যাগ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest