ভাঙছে না আদি-রীতি। ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়ার ভোরেই শুধু বাজবে মহিষাসুরমর্দিনী। শুক্রবার বৈঠকের পর তাঁদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল আকাশবাণী কলকাতা। ফলে দুর্গাপুজোর একমাস আগে মহালয়া পড়ায় দু’বার আকাশবাণী তাঁদের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে কি না, তা নিয়ে যে দোলাচল তৈরি হয়েছিল, তা কেটে গেল।
১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়া তিথির পর শুরু হচ্ছে না দেবীপক্ষ। মাঝে ঢুকে পড়েছে মল-আশ্বিন। তাই মায়ের পুজো এবার কার্তিকে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে মহালয়ার সম্প্রচার কবে হবে, নাকি দুদিন প্রচার হবে, সেটি এখন আলোচনার বিষয়। পুরোহিতদের একাংশ এবার কার্তিকে পুজোর এক সপ্তাহ আগে মহালয়া সম্প্রচারের আবেদন জানিয়েছিলেন আকাশবাণীর কর্ণধারকে।
আরও পড়ুন: খুশি করে এই সব গাছ বাড়িতে লাগিয়ে থাকলে সাবধান,পরিণতি খারাপ হতে পারে, কেন জেনে নিন
মহিষাসুরমর্দিনী দ্বিতীয়বার সম্প্রচারের প্রসঙ্গে আকাশবাণী কলকাতার প্রোগ্রাম হেড সুব্রত মজুমদার বললেন, “না, তা তো সম্ভব নয়।” তাঁর কথায়, “মহিষাসুরমর্দিনী আজ একটা মিথ। একটা নির্দিষ্ট রীতি মেনে, নিষ্ঠা নিয়ে এর সম্প্রচার হয়ে আসছে প্রথম থেকে। এক সময় লাইভ হত। পরে হয় রেকর্ড। সেই রীতি মেনেই এবারও মহালয়ার ভোরেই সম্প্রচার হবে। এর মর্যাদাই আলাদা। অন্য কোনও দিনের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। তাই তাকে আর দ্বিতীয়বার শোনানো যায় না।” পরে ২২ অক্টোবর অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিন ভোর পাঁচটায় বাজবে উত্তমকুমারের কণ্ঠের ‘দেবীদুর্গতিহারিনী’।
একটা সময় পর্যন্ত বাণীকুমার, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের জুগলবন্দি প্রতি বছর লাইভ সম্প্রচার করত মহিষাসুরমর্দিনী। ভোর চারটের অনেক আগে শিল্পীরা আকাশবাণী পৌঁছে যেতেন। নির্ধারিত সময়ে শুরু হত লাইভ সম্প্রচার। কিন্তু একটা সময়ের পর এই চণ্ডীপাঠের শিল্পীদের কণ্ঠ ধরে রাখার প্রয়োজন অনুভব করেন সকলেই। রেকর্ড হয়। যা পরে কিনে নেয় এইচএমভি। সেটিই এখন অন্যান্য রেডিও স্টেশন সম্প্রচার করে। কিন্তু এখানেই বলে রাখা দরকার, রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে একটি নয়, একাধিকবার তাতে ভ্যারাইটি আনেন বাণীকুমার। সব ক’টিই রয়েছে আকাশবাণীর সংগ্রহে। কখনও কখনও বদলে বদলে সেগুলি শোনানো হয়। গত বছরই যেমন ছয়ের দশকের প্রথম দিকে রেকর্ড করা একটি চণ্ডীপাঠ শোনানো হয়েছিল। এটাও একটা রেওয়াজ। সেইসব বহুমূল্য সংগ্রহের মধ্যে থেকেই একটি এবার শোনানো হবে।
আরও পড়ুন: যাবতীয় বাধা-বিপত্তি দূর করতে চান? জপ করুন গণেশের দ্বাদশ নাম অক্ষর…