জেনে নিন তর্পনের সনাতন নিয়ম, কোভিড পরিস্থিতিতে কী ভাবে একা তর্পণ করবেন…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

তর্পণ শব্দটির সঙ্গে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। আর মহালয়ার দিন প্রচুর মানুষকে গঙ্গাঘাটে তর্পণ করতেও দেখা যায়। প্রাচীনকাল থেকেই এই সময় প্রয়াত পূর্বপুরুষের আত্মা পৃথিবীর খুব কাছে বিরাজ করে বলে বিশ্বাস। তাই এসময় যদি তর্পণ করা হয় তবে উদ্দেশ্য সফল হয় বলে সবাই মনে করেন।

জানা যায়, তর্পণ শব্দটি এসেছে ত্রুপ থেকে। এর মানে সন্তুষ্ট করা। ভগবান, ঋষি ও পূর্বপুরুষের আত্মার উদ্দেশে জল নিবেদন করে তাঁদের সন্তুষ্ট করাকে তর্পণ বলা হয়। ভগবান ও পূর্বপুরুষের আত্মার নাম উচ্চারণ করে তাঁদের কাছে সুখ-শান্তি প্রার্থনা করা হয়। পিতৃ ও মাতৃ তর্পণের সময় জল, তিল, চন্দন, তুলসীপাতা ও ত্রিপত্রী আর অন্যান্য তর্পণের সময় তিলের পরিবর্তে ধান বা যব ব্যবহার করা হয়। আর চন্দন, তিল ও যব না থাকলে কুরুক্ষেত্র মন্ত্র পাঠের জলে তুলসী পাতা দিয়ে তর্পণ করতে হয়।

আরও পড়ুন: ১২ রকম শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পিতৃপুরুষদের আশীর্বাদ বয়ে আনে

এর মধ্যে তিল তর্পণ মানে জল ও তিল একসঙ্গে নিয়ে পূর্বপুরুষের আত্মার উদ্দেশে নিবেদন করতে হবে। পিতৃতর্পণের সময় অবশ্যই তিল ব্যবহার করতে হবে। আর তা কালো তিল হতে হবে। তিল না থাকলে শুধু কুরুক্ষেত্র মন্ত্র পাঠের জলে তুলসী পাতা দিয়া তর্পণ করতে হবে।

সনাতন মতে, পিতৃপক্ষে পুত্র কর্তৃক শ্রাদ্ধানুষ্ঠান অবশ্য করণীয় একটি অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের ফলেই মৃতের আত্মা স্বর্গে প্রবেশাধিকার পান। এই প্রসঙ্গে গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে, “পুত্র বিনা মুক্তি নাই।” ধর্মগ্রন্থে গৃহস্থদের দেব, ভূত ও অতিথিদের সঙ্গে পিতৃতর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্কেন্ডেয় পুরাণে বলা হয়েছে, পিতৃগণ শ্রাদ্ধে তুষ্ট হলে স্বাস্থ্য, ধন, জ্ঞান ও দীর্ঘায়ু এবং পরিশেষে উত্তরপুরুষকে স্বর্গ ও মোক্ষ প্রদান করেন।

এবার জেনে নিন, কোভিড পরিস্থিতিতে কী ভাবে একা তর্পন করবেন…

  • পরিষ্কার জল, কালো তিল ও কূশ। ছটি কুশ জলে ভিজিয়ে সেটা নরম হলে তিনটি কুশ অনামিকায় আংটির মতো ধারণ করুন।
  • স্নান সেরে সূর্যের দিকে মুখ করে তর্পণ করতে হয়।
  • প্রথমে আচমন করতে হয় দুবার। তারপর জল নিয়ে বলবেন, ওঁ ব্রহ্ম তৃপ্যতাম ওঁ বিষ্ণু স্তৃপ্যতাম ওঁ রুদ্র স্তৃপ্যতাম্ ওঁ প্রজাপতি স্তৃপ্যতাম্।এর পরে বলবেন ওঁ দেবা যক্ষাস্তুথা নাগা গন্ধর্ব্বাপ্ সরসোহসুরাঃ। ক্রূরাঃ সর্পাঃ সুপর্ণাশ্চ তরবো জিহ্মগাঃ খগাঃ। বিদ্যাধরা জলাধারা স্তথৈবাকাশগামিনঃ। নিরাহারশ্চ যে জীবাঃ পাপে ধর্ম্মে রতশ্চ যে। তেষামাপ্যায়নায়ৈতদ্ দীয়তে সলিলং ময়া।
  • এর পরে একে একে মনুষ্য তর্পণ, ঋষি তর্পণ, দিব্যপিতৃ তর্পণ, যম তর্পণ ও পিতৃ তর্পণ সারতে হবে।

আরও পড়ুন: Biswakarma Puja 2020: পেটকাটি, চাঁদিয়াল মোমবাতি, বক্কা… জেনে নিন কেন বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে ঘুড়ি ওড়াতে হয়?

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest