Durga Puja 2020: দশমীতে নীলকণ্ঠ পাখি দর্শনের পিছনে রয়েছে পৌরাণিক উপাখ্যান, আপনার জানা আছে কী?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

পোশাকি নাম ‘ইন্ডিয়ান রোলার’। বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘কোরাসিয়াস বেনঘালেনসিস’। আদরের নাম নীলকণ্ঠ পাখি। দুর্গাপুজোর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক এই পাখির। প্রচলিত বিশ্বাস, বিজয়া দশমীতে এই পাখি দেখতে পাওয়া খুবই শুভ।

দুর্গাপুজোর নানা রীতি-রেওয়াজের মধ্যে রয়েছে দশমীতে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর প্রথাও। যদি নীলকণ্ঠ পাখি ধরা বা কেনা-বেচা অনেকদিন ধরেই বেআইনি। তবু অনেক জায়গায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এখনও নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর রেওয়াজ বর্তমান। কিন্তু জানেন কি, দশমীতে কেন নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর প্রথা চালু হয়?

নীলকণ্ঠ শিবের আরেক নাম। সমুদ্র মন্থনের পর ওঠা ভয়ানক বিষের প্রভাব থেকে সৃষ্টিকে রক্ষা করতে সেই বিষ নিজের কণ্ঠে ধারণ করেন মহাদেব। বিষের জ্বালায় তাঁর গলায় নীলবর্ণ ধারণ করে। তাই শিবের আরেক নাম নীলকণ্ঠ। নীল বর্ণের জন্য নীলকণ্ঠ পাখিকে শিবের দোসর বলে মনে করা হয় হিন্দু ধর্মে। দশমীতে দুর্গা প্রতিমার ভাসানের আগে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর প্রথা চালু হয় এই বিশ্বাস থেকে যে নীলকণ্ঠ পাখি আগে কৈলাসে গিয়ে মহাদেবকে পার্বতীর আগমন বার্তা দেবে।

আরও পড়ুন: Durga Puja 2020: কলাবউ বলে ডাকলেও তিনি গণেশের স্ত্রী নন, তা হলে এই পুজোর তাৎপর্য কী ?

অনেকের মতে নীলকণ্ঠ পাখির দর্শনে পাপমুক্তি ও ইচ্ছাপূরণ হয়। এই প্রাচীন রীতি পালন করতে গিয়ে প্রতি বছর নির্বিচারে মারা পড়ত অগণিত নীলকণ্ঠ। তাদের নৃশংস ভাবে ধরে বন্দি করে রাখা হত। তারপর বিজয়া দশমীতে দশভুজাকে বিসর্জনের আগে খাঁচা খুলে উড়িয়ে দেওয়া হত আকাশে।

সেখানেই দেখা দিত বিপত্তি। ধরে-বেঁধে রাখা আহত পাখি উড়তে পারত না। কিছু দূর যাওয়ার পরেই তাকে আক্রমণ করত কাকের দল। তাদের আক্রমণ থেকে রেহাই পেত না ছোট আকারের এই পাখি। ফলে প্রতি বছর প্রাণ যেত বহু নীলকণ্ঠের। কয়েক বছর আগে নীলকণ্ঠ পাখি বন্দি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে বন্ধ হয়েছে নীলকণ্ঠ পাখির অকালনিধন।

মূলত বনেদি বাড়ির পুজোতেই নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর রেওয়াজ ছিল। এখন সে সব বাড়িতে নীলকণ্ঠ পাখির মূর্তি বানানো হয়। তাই দিয়েই পালিত হয় সাবেক রীতি। শুরু হয় আরও একটি বছরের অপেক্ষা। শারদ আকাশে মন চলে যায় নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে। তবে  বেশ কিছু শহরে প্রচলন আছে খাঁচায় কাপড় ঢেকে পয়সার বিনিময়ে এই পাখি দর্শন করার।কিছু জায়গায় লুকিয়ে আজও চলে এই পাখি ওড়ানো।

নীলকণ্ঠ পাখির ইংরেজি নাম ইন্ডিয়ান রোলার। আয়তন ২৫ সেন্টিমিটার থেকে ৩৫ সেন্টিমিটার লেজ সমেত। ওজন ৭০ – ১০০ গ্রাম হয়।

আরও পড়ুন: Durga Puja 2020: কী ভাবে পুজোর জন্য বাছা হয় কুমারী? জানেন কি কোন বয়সের কন্যাকে মা দুর্গার কোন নামে পুজো হয়?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest