কৃষ্ণের জন্মকাহিনি, জীবন নিয়ে উত্সাহের অবকাশ নেই। হিন্দু পুরাণের সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র কৃষ্ণ। মহাভারত, ভাগবত গীতা, বৈষ্ণব পদাবলী জুড়ে যার বিচরণ। শ্রীকৃষ্ণের লীলাক্ষেত্র কোথায়? ছেলেবুড়ো সকলেই বলবে মথুরা- বৃন্দাবন। কংস বধের হেতু তাঁর জন্ম গোকুলে। কিন্তু অনেকেরই অজানা তাঁর পদধূলিধন্য নেপালও। মিথ তাই বলছে।
নেপালের কাঠমান্ডু শহরের অনতিদূরে কপূরধারা অঞ্চলে তাঁর পদচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। এখান থেকেই তাঁর নেপাল-যোগের তত্ত্ব উঠে আসছে।স্থানীয় বিশ্বাস, নেপালবাসীকে তীব্র খরা থেকে উদ্ধার করতে নেপালে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি তীর-ধনুক দিয়ে মাটি ফুঁড়ে জল বের করে আনেন। সেখানে তাঁর চমতকারিত্বেই নাকি নির্মিত হয় একটি জলাধার। খরার ভয়ালতা থেকে রক্ষা পায় জীবকূল।
আরও পড়ুন: ষোলো কলায় পারদর্শী! জন্মাষ্টমীর দিন জেনে নিন শুনুন শ্রীকৃষ্ণের সবকটি লীলার মহিমা
জলাধারের স্বচ্ছতার জন্যেই নাম হয়েছিল কপূরধারা। জীবকূলকে এই প্রবল খরার হাত থেকে রক্ষা করার সময় ভৃ-পৃষ্ঠে নিজের পদচিহ্ন রেখে গিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। আজও সেই পদচিহ্ন পূজিত হয়ে আসছে এই জনপদে।
জন্মাষ্টমী পুজোর রীতি শুরু হয় সূর্য ডোবার পর। ভজন, পুজো, মধ্য রাতে উপবাস ভাঙার পর পরদিন পালিত হয় নন্দ উত্সব। এই দিন গোপালকে ৫৬ পদে ভোগ দেওয়ার নিয়ম। কৃষ্ণের প্রিয় মাখন, মিছরির সঙ্গে ফল, নানা রকম মেওয়া, নিমকি দেওয়া হয়। ভাদ্র মাসে জন্ম হওয়ার কারণে পাকা তাল কৃষ্ণের প্রিয়। জন্মাষ্টমীতে তাই তালের বড়া, তাল ক্ষীর, তালের লুচির মতো নানাবিধ সুস্বাদু খাবারে সাজিয়ে দেওয়া হয় থালা। এ ছাড়াও মঠরি, রাবড়ি, মোহনভোগ, ক্ষীর, জিলিপি মতো নানা রকম মিষ্টি, শাক, দই, খিচুড়ি, দুধ, কাজু, মোরব্বা সব কিছু দিয়ে তৈরি হয় ছাপ্পান্ন ভোগ।
আরও পড়ুন: শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে এই ১০ তথ্য জেনে নিন জন্মাষ্টমীর আগেই…