৪০০ বছরের পুরনো রীতি বন্ধ! চেনা কামাখ্যা মন্দিরে অচেনা অম্বুবাচী প্রথা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

The News Nest: ফি বছর অম্বুবাচী মানে বিশাল মেলা কামাখ্য মন্দির চত্বরে। লাখে লাখে ভক্তের আনাগোনা। গৃহী থেকে সন্ন্যাসীর সবার ভিড় জমে অসমের এই প্রাচীন মন্দিরে। কিন্তু এবার তো সবই আলাদা। করোনাভাইরাসের দিনে অম্বুবাচীও অন্যরকম। শুনশান মন্দির। কোলাহল নেই। তবে প্রথা বজায় রেখে বন্ধ হল দেবী মন্দিরের দরজা।

সোমবার থেকেই শুরু হল অম্বুবাচী। চলবে চারদিন। হিন্দু ধর্ম অনুয়াযী এই রীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনে করা হয়, এই সময় দেবী রজঃশলা হন। গোটা দেশেই এই সময়টা গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। তবে অসমের কামাখ্যা মন্দিরে অম্বুবাচী প্রথা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়।

অসমে নীলাচল পর্বতের উপরে হিন্দু ধর্মের ৫১টি শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম কামাখ্য মন্দির। ফি বছর অম্বুবাচী উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগম হয় অসমের কামাখ্যা মন্দিরে। দেশ-বিদেশ থেকে তীর্থযাত্রীরা বছরের এই সময়টায় এখানে ভিড় করেন। এখানে অম্বুবাচীর সময়ে যে মেলা বসে, সেটিকেই পূর্ব ভারতের বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েত বলা হয়।

আরও পড়ুন: সূর্যগ্রহণ, তাই আগে ভাগেই পুজো-ভোগ হয়ে গেল তারকেশ্বর মন্দিরে

সারা বছরই কামাখ্য দর্শন চলে তবে এই বছর কটা দিন অন্য চেহারায় দেখা যায় কামাখ্যা মন্দিরকে। কিন্তু এবার সেই চেনা ছবিটা নেই। চেনা কামাখ্যায় এ যেন অচেনা অম্বুবাচী। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে অনেক আগে থেকেই এই বছরের মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কামাখ্যা মন্দির কর্তৃপক্ষ। সেই মতো এবার সেখানে সম্পূর্ণ অন্য ছবি। অন্যান্য বছরে এই চার দিন মন্দির চত্বরে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম হয়। সেখানে এবার শুনশান করছে মন্দির চত্বর। ফাঁকা মন্দিরে নেই ভক্তের কোলাহল। শুধুমাত্র প্রথা পালন করছেন কয়েকজন পুরোহিত।

সোমবার সকাল ৭.৫৪ মিনিটে শুরু হয়েছে অম্বুবাচী। ২৫ জুন বৃহস্পতিবার রাত ৮.১৮ মিনিটে অম্বুবাচী ছেড়ে যাবে। গর্ভগৃহের বাইরে থেকে দেবীকে শুধুমাত্র ফল দিয়ে উপাসনা করবেন পুরোহিতরা। এই সময়ে কামাখ্যা দেবীর দ্বার বন্ধ রাখা হয়। দেবী দর্শন নিষিদ্ধ থাকে। চতুর্থ দিন দেবীর স্নান ও পূজা সম্পূর্ণ হওয়ার পরে কামাখ্যা দেবীর দর্শন করার অনুমতি মেলে। এই সময়টা দেবী দর্শন না হলেও কামাখ্যা মন্দিরের চতুর্দিকে বসে কীর্ত্তন করেন ভক্তেরা। মন্দিরের বাইরে প্রদীপ ও ধূপকাঠি জ্বালিয়ে দেবীকে প্রণাম করেন।

আরও পড়ুন: রথের দিন খুলছে তারাপীঠ, মন্দিরের অন্দরে যেতে পারবেন ভক্তরা, তবে থাকছে বিধিনিষেধ

Gmail 4

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest