বালগোপাল, নন্দলাল, শ্রী কৃষ্ণ, কানহা, আদরের গোপালকে সবাই এক একটি নামে ডাকেন ৷ বলা হয় ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার শ্রী কৃষ্ণ, কারাগারে জন্ম নিয়েছিল মাতা দেবকীর গর্ভে ৷ কৃষ্ণজন্মের শুভ তিথিটিই ঘরে ঘরে জন্মাষ্টমী রূপে পালিত হয় ৷ হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য দেখা যায়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি প্রতি বছর ইংরাজি ক্যালেন্ডারে অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনও এক সময়ে পড়ে।
জন্মাষ্টমীকে কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, কৃষ্ণ জয়ন্তীও বলা হয়। এবছর জন্মাষ্টমীর পুজো হবে ১২ অগাস্ট বুধবার ৷ তবে ১১ অগাস্ট সূর্যোদয়ের পরই শুরু হয়ে যাচ্ছে জন্মাষ্টমী তিথি ৷ ওই দিন রাতে পুজোর শুভ মুহূর্ত শুরু হবে ২৪:০৪:৩১ থেকে ২৪:৪৭:৩৮ পর্যন্ত ৷ অর্থাৎ মোট ৪৩ মিনিট ৷
আরও পড়ুন: কেন শিবের ত্রিশূলে বাঁধা ডমরু? কিসের প্রতীক এটি? জেনে নিন এই শ্রাবণে…
এছাড়া, ১৩ অগাষ্ট রাত ১২ টা বেজে ৪৮ মিনিট থেকে রাত ২ টো বেজে ৩৪ মিনিট পর্যন্ত থাকবে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ।হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশেষত বৈষ্ণবদের কাছে জন্মাষ্টমী একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। উত্তর ভারতে খুবই জনপ্রিয় জন্মাষ্টমী পুজো ৷ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় ধুমধাম করে পালন হয় দহিহান্ডি উৎসব ৷ দহি হান্ডি উৎসবে ছোটরা মিলে উঁচু কোনও জায়গায় বেঁধে রাখা মাখনের হাড়ি ভাঙতে চেষ্টা করে।
বাংলাতেও জন্মাষ্টমীর দিনে ঘরে ঘরে দুধ-ঘি-মধুতে স্নান সেরে নতুন জামা, গয়না পরে, ফুল-চন্দন-আতরে সেজে ওঠেন বালগোপাল ৷ আদরের গোপালের জন্য সাজানো হয় ভোগের থালা ৷ পোলাও থেকে লুচি, পায়েস থেকে লাড্ডু, নাড়ু, চকোলেট আরও কত কী ৷
আরও পড়ুন: পড়াশোনায় সন্তানের অনীহা ? বাস্তু মেনে চললে পেতে পারেন সুরাহা