নিউ নর্মালের পথে এবার মা দুর্গাও! সচেতনতার বার্তা দিতে মুখ ঢাকবেন রুপোর মাস্কে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

করোনা আবহে নিউ নর্মাল এখন মুখে মাস্ক ও হাতে স্যানিটাইজার। স্বাস্থ্য সচেতনতায় মানুষ যদি পারে তাহলে দেবতা কেন নয়? যদি মা দুর্গাই সচেতনতার বার্তা দেন তাহলে আর মানুষ অবহেলা করতে পারবেন কি? সেরকমই অভিনব ভাবনা এবার পুজোয় হাজির হচ্ছে উত্তর কলকাতার একটি বিখ্যাত পুজো। করোনা কালে নিউ নর্মাল মাস্ককেই এবার মায়ের অবগুণ্ঠন হিসাবে রাখছেন উদ্যোক্তারা। গৌরীবেড়িয়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সদস্যরা এবার এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে সাধারণ মাস্ক নয়, বরং রুপোর মাস্কে ঢাকবে মাস্কের মুখ।

সে জন্য ৪১.৮ গ্রামের একটি রুপোর মাস্কও বানিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। সোমবার, শ্রাবণ মাসের শেষ দিনে সেই মাস্ক পরা দুর্গা প্রতিমার মুখ সামনে রেখেই খুঁটিপুজো হয়েছে তাঁদের। ওই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা মান্টা মিশ্র বলেন, “এ বার আমাদের ৮৭তম বছর। এই মুহূর্তে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেকেই এখনও উদাসীন। দেবীর মুখে মাস্ক দেখে যদি তাঁদের হুঁশ হয়!”

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ! আগামী ২-৩ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, বইবে ঝোড়ো হাওয়া

তবে এ বিষয়ে গত ১৪ অগস্ট সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ায় তড়িঘড়ি মাস্ক বানিয়ে দেওয়ার জন্য কলকাতার কোনও স্বর্ণকারকেই পাওয়া যায়নি। শেষে বেলঘরিয়ার এক স্বর্ণকার রুপোর মাস্কটি বানান। মান্টাবাবুর দাবি, “একটি মুকুট থেকে রুপোর মাস্কটি তৈরি করানো হয়েছে। মুকুট তো আদতে একটি রক্ষাকবচ। আমরা মনে করছি, মুকুট নয়, মাস্কই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ।”

শুধু পুজো কমিটিই নয়। শিয়ালদহের দত্ত বাড়ির পুজোতেও এ বার প্রতিমার মুখ ঢাকা থাকবে মাস্কে। রীতি মেনে অন্য গয়নার মতো বর্ধমানের এক স্বর্ণকারকে মাস্কের বরাতও দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন ওই বাড়ির সদস্য দিশা দত্ত। কলেজপড়ুয়া ওই তরুণীর কথায়, “আমাদের ১৬০ বছরের পুজো। মাস্ক নিয়ে সকলে রাজি থাকলেও ৭২ বছরের ঠাকুরমা প্রথমে রাজি হচ্ছিলেন না। শেষে বাবা অনেক বুঝিয়ে রাজি করান। সামনের মাসেই প্রতিমার মাস্ক চলে আসবে।” ২৫৮ বছরের পুরনো, আমহার্স্ট স্ট্রিটের চন্দ্রবাড়ির পুজোতেও প্রতিমাকে মাস্ক পরানোর কথা ভাবছেন বাড়ির সদস্যেরা। ওই বাড়ির অন্যতম সদস্য, পেশায় কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী দেবকুমার চন্দ্র বললেন, “মানুষকে সচেতন করতে দুর্গাপুজোর থেকে বড় মঞ্চ হয় না। তাই প্রতিমাকে মাস্ক পরানো গেলে দর্শনার্থীদের কাছেও দারুণ বার্তা দেওয়া যায়।” যদিও ভিন্নমত পোষণ করছেন শোভাবাজার নন্দনবাড়ির সেবায়েত অতনু দত্ত। তাঁর কথায়, “প্রতিমা কি মানুষের মতো হাঁটে! যদি হাঁটত, মাস্ক পরাতাম। ১২০ বছরের পুজো, অনিয়ম করা যাবে না।”

আরও পড়ুন: সাত সকালে কলকাতায় জোড়া পথ দুর্ঘটনা! মাথা থেঁতলে মৃত্যু ৩ জনের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest