করোনার মধ্যে এবার যে আর আগের মতো ধার ভার থাকবে না শহরের পুজোগুলোর তা আগে থেকে জানা ছিল। কিন্তু ছোট করে হলেও পুজো হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানিয়েছেন, বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। ছোট করে হলেও তা হবে। আর তাই মহালয়ার দু’দিন আগেই পুজো সংক্রান্ত আলোচনার জন্য বৈঠকে বসছেন কলকাতা পুরভার আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, নিয়ম মেনে মহালয়ায় গঙ্গায় তর্পণও করা যাবে।
মহালয়ার দিন গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে তর্পণ করতে আসেন বহু মানুষ। পুরসভা সূত্রে খবর, এবারও যদি কেউ একা তর্পণ করতে আসেন, তাহলে তাঁকে বাধা দেওয়ার নির্দেশ প্রশাসনকে দেওয়া হয়নি। অবশ্য যাতে এক জায়গায় অনেক লোক নেমে তর্পণ না করে একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখেন, সেদিকে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে পুরোহিত থেকে শুরু করে যাঁরা তর্পণে আসবেন তাঁদের মাস্ক পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিতৃপক্ষেই মায়ের বোধন! পুজোর ৪১ দিন আগেই উমা এল ট্যাংরার দাস বাড়িতে
সূত্রের খবর, মহালয়ার দিন যাতে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে সুষ্ঠুভাবে তর্পণ সম্ভব হয়, তার জন্য আগে থেকে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে পুরসভা। যাঁরা তর্পণ করতে আসবেন, তাঁদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশ দিয়েছে ফিরহাদ হাকিম। যাতে কোনও রকমের দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য ডুবুরিদের তৈরি রাখা হবে। এছাড়া বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীদেরও তৈরি রাখা হবে বলে খবর। সংক্রমণের মধ্যেও যতটা সম্ভব সুরক্ষা নিয়ে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব পালন করার প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
জানা গিয়েছে, কলকাতায় পুজোর প্রস্তুতি থেকে শুরু করে রাস্তা, বিদ্যুৎ এই সংক্রান্ত আলোচনার জন্য মঙ্গলবার বৈঠক ডেকেছে পুরসভা। কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে এই বৈঠকে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার, পূর্ত দফতর, কেএমডিএ, কলকাতা পুলিশ, দমকল ও সিইএসসি প্রভৃতি সংস্থাকে তলব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘাটে তর্পন বন্ধ! করোনার জেরে মহালয়ায় বন্ধ দক্ষিণেশ্বর মন্দির