কবে থেকে এবং কীভাবে শুরু হয়েছে পুরীর জগন্নাথ রথযাত্রা? জেনে নিন অবাক করার মত তথ্য

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

The News Nest: হিন্দু ধর্মের অন্যান্য উৎসবের মতোই রথযাত্রাও এক জাঁকজমকপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, রথযাত্রা বা রথদ্বিতীয়া প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে পালিত হয়ে থাকে। ভারতবর্ষের বহু জায়গায়, বিশেষ করে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে এই উৎসব বিশেষভাবে পালিত হয়। ওড়িশার পুরীর রথ সারা পৃথিবী বিখ্যাত। তবে শুধু ভারতবর্ষে নয়, ডাবলিন মস্কো এবং নিউ ইয়র্ককেও রথযাত্রার পালিত হয়। প্রতি বছরের মতো ভারতবর্ষে এইবছর রথযাত্রা পালিত হচ্ছে ২৩ জুন।

রথ যাত্রার এই কাহিনীর সঙ্গে জড়িত আছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নাম। আর জগন্নাথ হলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণেরই এক রূপ। ওড়িশার প্রাচীন পুঁথি ‘ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ’ অনুযায়ী, এই রথযাত্রার প্রচলন হয়েছিল সত্যযুগে। তখন ওড়িশা মালবদেশ নামে পরিচিত ছিল। সেখানকার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। তিনি স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে ভগবান বিষ্ণুর জগন্নাথরূপী মূর্তি নির্মাণ করেন এবং রথযাত্রারও স্বপ্নাদেশ পান। লোকমুখে শোনা যায়, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বপ্নাদেশ পান যে পুরীর সমুদ্রতটে ভেসে আসা একটি কাষ্ঠখণ্ড দিয়ে জগন্নাথের মূর্তি নির্মাণ করতে হবে। আদেশ অনুযায়ী মূর্তি নির্মাণের জন্য যখন রাজা উপযুক্ত শিল্পীর সন্ধান করছিলেন, ঠিক তখনই এক বৃদ্ধ তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হন।

আরও পড়ুন: Rath Yatra 2020: ভক্তের সমাগম ছাড়াই শুরু পুরীর রথযাত্রা, শুভেচ্ছা মোদীর, দেখুন Live…

তিনি জানান তিনিই এই মূর্তিটি তৈরী করবেন এবং রাজার কাছে মূর্তি নির্মাণের জন্য কয়েকদিন সময় চেয়ে নেন, পাশাপাশি ওই বৃদ্ধ বলেন এই মূর্তি নির্মাণকালে কেউ যেন তাঁর কাজে বাধা না দেয়। দরজার আড়ালে শুরু হয় কাষ্ঠমূর্তি নির্মাণ। রাজা-রানীসহ সকলেই এই মূর্তি নির্মাণকাজের ব্যাপারে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। রানি প্রতিদিন বন্ধ দরজার বাইরে থেকে কান পেতে আওয়াজ শুনতো। কিন্তু হঠাৎই একদিন সেই আওয়াজ একদিন বন্ধ হয়ে যায়। রানী কৌতূহল চেপে রাখতে না পেরে রাজাকে জানাতেই ইন্দ্রদ্যুম্ন দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন, দেখেন মূর্তি অর্ধসমাপ্ত এবং শিল্পী উধাও। এই রহস্যময় কাষ্ঠশিল্পী ছিলেন বিশ্বকর্মা।

তিনটি অর্ধসমাপ্ত মূর্তি দেখে অর্থাৎ হাত ও পা নির্মিত হয়নি বলে রাজা মুষড়ে পড়লেন। কাজে বাধাদানের জন্য রাজা অনুতাপ করতে থাকলেন। তখন তাঁকে স্বপ্ন দিয়ে জগন্নাথ বললেন যে, এরকম আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। তিনি এই রূপেই পূজিত হতে চান। এভাবেই আবির্ভাব ঘটে জগন্নাথ দেবের এবং সেই থেকেই শুরু তাঁর পুজো। পরবর্তীকালে রাজা পুরীর এই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ ও রথযাত্রার প্রচলন করেন।

পুরীর রথযাত্রায় ব্যবহৃত তিনটি রথের ভিন্ন ভিন্ন নাম থাকে। জগন্নাথ দেবের রথের নাম ‘নান্দীঘোষ’, বলরামের রথের নাম ‘তালধ্বজ’ এবং সুভদ্রার রথের নাম ‘দর্পদলন’। এই তিনটি রথের উচ্চতা এবং রঙও আলাদা হয়। জগন্নাথ দেবের রথে ১৮টি চাকা থাকে, বলরামের রথে থাকে ১৬টি চাকা। জগন্নাথ এবং বলরামের বোন সুভদ্রার রথে থাকে ১২টি চাকা। বর্তমানে এই রথযাত্রা বিশ্ববিখ্যাত এবং সারা ভারতবর্ষের মানুষের কাছে এক আনন্দের অনুষ্ঠান। ভক্তদের সমাগমে ছেয়ে যায় পুরুষোত্তম ক্ষেত্র বা শ্রীক্ষেত্র। ভারতবর্ষের সকল মানুষ অপেক্ষায় থাকেন এই উৎসবের জন্য।

আরও পড়ুন: রথের দিন খুলছে তারাপীঠ, মন্দিরের অন্দরে যেতে পারবেন ভক্তরা, তবে থাকছে বিধিনিষেধ

Gmail 4

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest