Durga Pujo 2020: আগে প্রাণ পরে উৎসব! দর্শকহীন পুজোর সিদ্ধান্ত সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

করোনা কালে দুর্গাপুজোর সময়ে যে ভিড় নিয়ে চিন্তিত পুলিশ-প্রশাসন থেকে উদ্যোক্তারা। কীভাবে ক্রাউড কন্ট্রোল হবে সে চিন্তায় যখন মাথার চুল ছিঁড়ছেন অন্য পুজোগুলি। সেইসময় পথ দেখাল মধ্য কলকাতার এই অন্যতম হেভিওয়েট পুজো। ৮৫ বছরের রীতিতে ছেদ টেনে এবার দর্শক বিহীন পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

উত্তর কলকাতার সাবেকি দুর্গাপুজোর তালিকায় প্রথম দিকেই থাকে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের নাম। প্রতি বছর এই মণ্ডপে প্রতিমা আসার সঙ্গে সঙ্গেই নামে দর্শনার্থীদর ঢল। কিন্তু এবছর সবদিক থেকে ব্যতিক্রম। বিশ্বজুড়ে কোভিড মহামারীর সংকট। এই অবস্থায় বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো হবে কি না, তা নিয়েই একরাশ অনিশ্চয়তা ছিল। সেসব কাটিয়ে সরকারি বিধি মেনে পুজোর আয়োজন করেছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার। মণ্ডপ তৈরি, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে দর্শনার্থীদের প্রবেশ, প্রস্থান পথও নির্দিষ্ট করা হয়ে গিয়েছিল। মণ্ডপে চলে এসেছিল মিন্টু পালের তৈরি প্রতিমাও।

আরও পড়ুন: পুজোর আগে এক্কেবারে ছকভাঙা সাজে ধরা দিলেন ‘রানীমা’ দিতিপ্রিয়া

কিন্তু গত কয়েকদিনে রাজ্যের কোভিড (COVID-19) গ্রাফ দেখে কমিটির সদস্যদের চিন্তা বেড়েছে। সেই দুর্ভাবনা থেকেই রাতারাতি সিদ্ধান্ত বদল করে ফেলেন তাঁরা। সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের পুজো উদ্যোক্তাদের অন্যতম সজল ঘোষ জানান, ”এবছর কোনও দর্শনার্থী আমরা আর ঢুকতে দেব না মণ্ডপে। সবদিকের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগে প্রাণ বাঁচুক, তারপর উৎসব। তবে দর্শনার্থী ছাড়া মায়ের পুজো মা যথাযথভাবেই পাবেন।জানি এই সিদ্ধান্ত কঠিন, হৃদয়বিদারক। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি মানুষের জীবনের থেকে উৎসবের মূল্য কখনও বেশি হতে পারে না।” পুজোর দিনগুলিতে আচার-রীতি মেনে পূজার্চনা হবে। পল্লিবাসীবৃন্দ তাতে অংশ নেবেন। কিন্তু বাইরের কোনও দর্শনার্থী প্যান্ডেলে ঢুকতে পারবেন না। এবার ভার্চুয়ালি ঠাকুর দেখবেন পুজোপ্রেমীরা।

পুরোপুরি দর্শকশূন্য পুজো করার কারণে বেশ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে এই পুজো কমিটি। স্পনসরদেরও আপত্তি উঠেছে। টাকাও ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সজলবাবু জানিয়েছেন, “সরকার যেভাবে মারাত্মক মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে আমরা আশা করব অন্যান্য পুজো কমিটিগুলিও আমাদের সিদ্ধান্তের শরিক হবেন। আপনারা ও সাধারণ মানুষও আমাদের পাশে থাকবেন।” উদ্যোক্তাদের সিদ্ধান্তে অনেকের মনখারাপ হলেও সময়ের দাবি মেনে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়, বলছে সব মহল। এমন সাহসী ও ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের কুর্নিশ জানাচ্ছেন অনেকে।

আরও পড়ুন: পুজোর থিম ‘কেদারনাথ’! ২৫ কিলো সোনায় সাজছে শ্রীভূমির দুর্গা, করা যাবে ভার্চুয়াল দর্শন

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest