জন্মাষ্টমীতে কেন শ্রীকৃষ্ণকে ছাপ্পান্ন ভোগ দেওয়া হয়, নেপথ্যের পৌরানিক কারণ জানেন?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশে সারা দেশ ভোগ নিবেদন করে। ষোড়শপচারে নিবেদিত এই ভোগ ‘ছাপ্পান্ন ভোগ’ নামেই সমাধিক পরিচিত। সারা দেশেই ছাপ্পান্ন ভোগ দানের প্রথা প্রচলিত রয়েছে। প্রকৃত অর্থেই শ্রীকৃষ্ণকে ৫৬ প্রকারের অন্ন-ব্যঞ্জন-মিষ্টান্ন নিবেদন করেন ভক্তরা। প্রশ্ন এখানেই, এই ৫৬ সংখ্যাটির তাৎপর্য ঠিক কী?

‘ভাগবত পুরাণ’ থেকে জানা যায়, দেবরাজ ইন্দ্রের রোষ থেকে তাঁর গ্রামবাসীদের বাঁচাতে শ্রীকৃষ্ণ গিরি গোবর্ধন ধারণ করেন। এই পর্বতই গ্রামবাসীদের বজ্র-বিদ্যুতের দেবতা ইন্দ্রের হাত থেকে রক্ষা করে। টানা সাত দিন ধরে ইন্দ্র বজ্রপাত ঘটান। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের কনিষ্ঠায় ধৃত গিরি গোবর্ধনের নীচে আশ্রয়প্রাপ্ত গ্রামবাসীদের তাতে কোনও ক্ষতি হয়নি। পরে ইন্দ্র নিজের ভুল বুঝতে পারেন এবং বজ্রপাত থেকে নিবৃত্ত হন।

আরও পড়ুন: খরা থেকে উদ্ধার করতে নেপাল গিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ! জানুন সেই তথ্য…

এই সাতদিন শ্রীকৃষ্ণ কোনও খাদ্যগ্রহণ করেননি। তিনি প্রতিদিন ৮টি পদ আহার করতেন বলেই জানায় ‘ভাগবত পুরাণ’। সাতদিন অভুক্ত থাকার পরে শ্রীকৃষ্ণ আহারে প্রবৃত্ত হন। কৃতজ্ঞ গ্রামবাসীরা তাঁকে খাদ্য নিবেদন করেন। সাতদিনের আট প্রকার পদ, অর্থাৎ ৭ x ৮= ৫৬টি পদ তাঁকে একবারে নিবেদন করা হয়।

এই ৫৬ ভোগে থাকে অন্ন, ফল, মিষ্টান্ন, পানীয়, নোনতা খাবার ও আচার। অনেক জায়গায় ১৬ রকমের নোনতা, ২০ রকমের মিষ্টি এবং ২০ রকমের শুকনো টাটকা ফল নিবেদন করা হয়। সাধারণত দুগ্ধজাত পদের পরে নোনতা ও তার পরে মিষ্টি ও ফল শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করা হয়।

আরও পড়ুন: ষোলো কলায় পারদর্শী! জন্মাষ্টমীর দিন জেনে নিন শুনুন শ্রীকৃষ্ণের সবকটি লীলার মহিমা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest