তুরস্কে এরদোগান পত্নীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আমির খানের, টুইটার জুড়ে প্রতিবাদ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

লাল সিং চাড্ডা ছবির শুটিংয়ের জন্য তুরস্কে রয়েছেন আমির খান. সেখানেই তিনি দেখা করেন তুর্কি ফার্স্ট লেডি প্রেসিডেন্ট ইরদোগান পত্নী এমিনি এরদোগানের সঙ্গে। বেশ কিছুক্ষন কথাও হয় দুজনের মধ্যে। ১৯৯৪ সালে তৈরী হওয়া হলিউড মুভি ফরেস্ট গামের অনুকরণে আমির এই ছবিটি তৈরী করছেন।

প্রেসিডেন্টের হুবের ম্যানশনে সাক্ষাৎ হয় দু’জনের। নানা সামাজিক দায় দায়িত্ব নিয়ে উভয়েই কথা বলেন। আমির খান বহু দিন ধরেই ওয়াটার ফাউন্ডেশনের কাজ করে চলেছেন। এই কাজে আমিরের সঙ্গী তাঁর স্ত্রী কিরণ। ভারতের যেসব এলাকায় জলের সংকট রয়েছে সেখানে তাঁর ফাউন্ডেশন কাজ করে।

আরও পড়ুন : সংসদে বর্ষাকালীন অধিবেশনে বেনজির ব্যবস্থা, ভাইরাস মারতে ডিভাইস, জায়ান্ট স্ক্রিন !

শনিবার তুরস্কের ফার্স্ট লেডি তাঁর অফিসিয়্যাল টুইটার অ্যাকাউন্টে আমির খানের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, আমার দারুণ একটা সৌভাগ্য হয়েছে ইস্তানবুলে বিশ্বের অন্যতম পরিচিত অভিনেতা,পরিচালক আমির খানের সঙ্গে দেখা করবার। আমি এটা জেনে খুশি হলাম, আমির খান তাঁর সাম্প্রতিকতম ছবি লাল সিং চড্ডার শ্যুটিংয়ের শেষ অংশ তুরস্কের বিভিন্ন জায়গায় করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন’।

তুরস্কের পোর্টাল ডেইলি সাবা থেকে জানা গিয়েছে প্রেসিডেন্ট এরদোগান আমির খানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমির তার ছবিতে যেভাবে সামাজিক সমস্যা ও তার সমাধান তুলে ধরেন তার জন্য এই তারকাকে শুভেচ্ছা জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এরদোগান ও আমির ভারত এবং তুরস্কের সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য নিয়েও আলোচনা করেন।

লকডাউনের আগে লাল সিং চাড্ডা সিনেমার একটা অংশের শুটিং শেষ হয়। বাকি ফিল্মের শুটিং হবে তুরস্কে। মোটামুটি ৪০ দিন লাগার কথা। অক্টবরের গোড়ার দিকে এখানকার কাজ শেষ হবে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকেই ভারতের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক আর আগের মত নেই। তা অনেকটাই খারাপ হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে এই সম্পর্ক বেশ টান-টান রয়েছে। উল্লেখ্য, আমিরের আগে এই করোনাকালে অক্ষয় কুমার তুরস্ক থেকে শুটিং সেরে ফিরেছেন।

ভারতের স্বাধীনতা দিবসে তুরস্কের ফার্স্ট লেডির সঙ্গে  আমির খানের এই আনুষ্ঠানিক বৈঠক কেন ‘চোখের বালি’ নেটিজেনদের একটা বড়ো অংশের? সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক খুব একটা মজবুত নয়। বিশেষত গত কয়েক মাসে বিভিন্ন ইস্যুতে তুরস্ক যেভাবে প্রতিবেশি রাষ্ট্র পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে আমির খানের সঙ্গে তুরস্কের ফার্স্ট লেডির এই অফিসিয়্যাল বৈঠক ভালোভাবে মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। আর্টিকেল ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করা, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশেই দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। সম্প্রতি তুরস্কের এক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মন্তব্য করেন, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ভারত সরিয়ে দেওয়ার পর উপত্যকায় শান্তি পরিস্থিতিতে বিঘ্ন ঘটেছে।

দেখুন সেই নিয়ে ক্ষুদ্ধ টুইটারবাসীদের প্রতিক্রিয়া-

আরও পড়ুন : রাজভবনে নজরদারি চলছে, পাচার হচ্ছে গোপন নথি, দাবি ধনখড়ের

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest