আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হলেও তারা দুজনে সরাসরি ধর্ষণ ও খুনের সঙ্গে যুক্ত নন। কারণ, এখনও পর্যন্ত গণধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেই শিয়ালদহ আদালতে জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে, ধৃত সন্দীপ এবং অভিজিৎকে আগামী ৩ দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল শিয়ালদহ আদালত।
আদালতে তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনার দিন, অর্থাৎ ৯ অগস্ট চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে সন্দীপ ও অভিজিতের মোবাইলে সবচেয়ে বেশি কথাবার্তা হয়েছিল, দেখা গিয়েছে কল ডিটেলসে। বেশ কয়েকটি ‘সন্দেহজনক’ মোবাইল নম্বরেও তাঁরা বার বার কথা বলেছেন। সে বিষয়ে আরও জেরা এবং অনুসন্ধান প্রয়োজন। টালা থানা থেকে সিসি ক্যামেরার যে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে, তা পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সিবিআই।
এদিন অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী শুনানিতে তাঁর মক্কেলের গ্রেপ্তারির পদ্ধতিগত বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর মক্কেল তদন্তকারী আধিকারিক ছিলেন না। তিনি সহযোগী। পদ্ধতি মেনে সিবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি। এর পর বিচারক সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, “আপনারা ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন। খুন ও ধর্ষণে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে নাকি প্রমাণ লোপাটে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে । এটা গুরুতর অভিযোগ। আপনাদের কাছে কি এমন কোনও তথ্য আছে যে ওই দুজনে খুন ও ধর্ষণে যুক্ত?”
পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই আদালতে জানায় সিবিআই। বিচারক সিবিআইকে জানান, যদি এমন কোনও তথ্য পান, তাহলে আলাদা FIR হয়নি কেন? সিবিআই এর পর দাবি করে, “হতে পারে এই ঘটনার আগে কোনও ষড়যন্ত্র হয়েছে। সন্দীপ ইচ্ছাকৃতভাবে এফআইআর করতে দেননি। তবে ওসি কেন এফআইআর করলেন না, কে আটকাল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এর পরই দুজনকে ফের তিনদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।