কলকাতা: লকডাউনের সময় বিজেপি কার্যালয় থেকে কয়েকশো কুইন্ট্যাল চাল উদ্ধার নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির বানারহাটে।বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিশি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
করোনা পরিস্থিতিতে বারবার রেশনে গড়মিলের অভিযোগ করছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। প্রাপ্য খাদ্যসামগ্রীর জন্য রাস্তায় নেমে বিক্ষোভও দেখাচ্ছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বানারহাটের ওই বিজেপির কার্যালয়ে হানা দেয় বানারহাট থানার পুলিশ ও ফুড ইনস্পেক্টর। সেখানেই মেলে বস্তা বন্দি কয়েকশো কুইন্টাল চাল। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও তৃণমূল জেলা সভাপতির অভিযোগ, এক রেশন ডিলার তাঁর বরাদ্দের পুরো চালই বিজেপিকে দিয়েছে। যার জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার স্থানীয়রা। প্রাপ্য সামগ্রী ছাড়াই রেশন দোকান থেকে ঘর ফিরতে হচ্ছে তাঁদের।
আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনা আক্রান্ত মৃত্যু ১০৫ জনের,৩৩ জনের মৃত্যুর কারণ কোভিডই :মুখ্যসচিব
লকডাউনের সময় বামেরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের সুর ছড়িয়েছে বঙ্গ বিজেপিও। এদিনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে অস্বস্তিতে বিজেপি। যদিও তাদের দাবি, গোটা ঘটনাটিই পরিকল্পনামাফিক । চাল মজুত প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি সাফ জানান যে, লোকসভা নির্বাচনের সময় ওই ঘরটি বিজেপির কার্যালয় করা হলেও, পরবর্তীতে সেটি তাঁদের নেই। তাই সেই ঘরে কী রাখা হয়েছে, তার দায় তাঁদের নয়। পাশাপাশি, ঘর ছাড়লেও সেখান থেকে দলীয় পতাকা ও মোদির ছবি সরানো হয়নি বলেই জানান তিনি। এই ঘটনায় পুলিশি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।
বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলা খাদ্য আধিকারিক অমৃত ঘোষ। আগামিকাল থেকেই রেশন বিলি করা হবে বলে জানান পঞ্চায়েত প্রধান। প্রসঙ্গত, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্তব্ধ গোটা দেশ। ফলে চূড়ান্ত সমস্যায় দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা। তাঁদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই কারণে রেশন বিলির দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জেলায় রেশন কারচুপির ঘটনায় প্রবল সমস্যায় সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: পঞ্চভূতে বিলীন ঋষি কাপুর, ভেঙে পড়লেন নিতু, স্তব্ধ রণবীর-আলিয়া,পৌঁছতে পারল না ঋদ্ধিমা,দেখুন ছবি