ওয়েব ডেস্ক: গোটা বিশ্ব এখন করোনা নামক মারণ ব্যাধির সঙ্গে লড়ছে। করোনার প্রকোপ আটকাতে গোটা এদেশে এখন লকডাউন। তবে কঠিন এই পরিস্থিতি ভেদাভেদ ভুলে মানুষকে আবার মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এমনই একটি সম্প্রীতির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সলমন খান।
ওয়েব ডেস্ক: কঠিন দুঃখেও প্রাণ খুলে হাসা শেখালেন যিনি, আজ চার্লির জন্মদিন
নিজের ইনস্টা হ্যান্ডেলে সলমন যে ছবি পোস্ট করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে একই আবাসনের দুটো ফ্লোরের ব্যালকনি। দুটো ফ্লোরের দুই ব্যালকনিতে বসে দুই ব্যক্তি প্রার্থনা করছেন। তার মধ্যে একজন হিন্দু, অন্যজন মুসলিম। এই ছবিটি পোস্ট করে সলমন লিখেছেন, ‘উদাহরণ তৈরি করছেন।… ‘
সলমনের এই পোস্ট মন জয় করেছে নেটিজেনদের। লকডাউনের মধ্যে পানভেলের বাগান বাড়িতে আটকে রয়েছেন সলমন খান। সেখানে দুই বোন, ভগ্নিপোত, তাঁদের সন্তান-সহ পরিবারের বেশ কয়েকজনকে নিয়ে বাগান বাড়িতেই দিন কাটছে সলমনের। লকডাউন চলছে। ফলে সেখান থেকে বেরিয়ে ব্যান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে আসা এক কথায় অসম্ভব। সেই কারণে পরিবারের যে যেখানে রয়েছেন, সেখানেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সলমন খান-রা।
ওয়েব ডেস্ক: এবার অভুক্তদের পাশে গৌরী, প্রায় ১ লক্ষ মানুষকে খাবারের প্যাকেট বিতরণ শাহরুখপত্নীর
সলমন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, কোনওভাবেই তাঁরা লকডাউন ভাঙছেন না। তবে যাঁরা সরকারের নির্দেশ না মেনে, লকডাউনের মধ্যে এদিক ওদিক যাতাযাত করছেন, তাঁরা ঠিক করছেন না। যে কোনও অসুখই চিন্তার বিষয়। বিশেষ করে যে সব অসুখের কোনও প্রতিষেধক এখনও বেরোয়নি। করোনা ভাইরাসের তাদের মধ্যে অন্যতম। ফলে দেশে যখন কঠিন পরিস্থিতি চলছে, সেই সময় প্রত্যেককে সরকারি নির্দেশ মেন চলতে হবে। কোনওভাবেই সরকারি নির্দেশ অমান্য করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন সলমন খান।
ভাইজান ভিডিওতে সবাইকে লকডাউনে ঘরে বসে নামাজ পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অভিনেতা কথায়, আল্লাহ সবার মধ্যে আছেন। পরিবারের সঙ্গে ঘরে বসে নামাজ পড়লেও তাঁকে পাওয়া যাবে।ভিডিওতে সলমন আরও বলেন, “এখন জীবনের বিগ বস শুরু হয়েছে। করোনা সংক্রমণে প্রথমে মনে হয়েছিল একসময় থেমে যাবে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি এখন আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে।”
পাথর ছোঁড়া লোকেদের তিরস্কার করে বলেন, “ডাক্তাররা সবার জীবন বাঁচাতে এসেছেন। নার্সরা সেবা করছেন অক্লান্ত ভাবে। আর আপনারা তাঁদের ওপর পাথর ছুঁড়ে মারছেন! এই ডাক্তাররা যদি আর কারোর চিকিৎসা না করেন তবে রোগ দূর হবে কীভাবে? একই ভাবে প্রশাসন রাস্তায় অকারণে ঘুরতে থাকা মানুষদের ঘরে পাঠাচ্ছেন তাঁদের সুস্থ থাকার জন্য। এভাবেও তাঁদের ওপর অত্যাচার চালানো উচিত নয় কারোর। প্রশাসনের কথা শুনে লকডাউন না মানলে প্রয়োজনে দেশ এবং দেশবাসীর স্বার্থে সেনাবাহিনি নামাতে হবে।”
ওয়েব ডেস্ক: বাতিল বিয়ের অনুষ্ঠান, সেই টাকা করোনা অনুদানে দিলেন পূজা