কেন্দ্রের হারেই ডিএ রাজ্যে, জানিয়ে দিল স্যাট, বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#কলকাতা: বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মামলায় রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল (স্যাট) রায় দিল মামলাকারী কর্মী সংগঠনের পক্ষেই। সর্বভারতীয় মূল্যসূচক (অল ইন্ডিয়া সেন্ট্রাল প্রাইস ইনডেক্স) অনুযায়ীই ডিএ দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের এবং বছরে দু’বার দিতে হবে ডিএ— জানিয়ে দিল স্যাট। এ রাজ্যে ডিএ ঘোষণা অনিয়মিত হওয়ার কারণে কর্মীরা আর্থিক ভাবে যতটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তা-ও পুষিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতেই ডিএ সংক্রান্ত দাবি নিয়ে স্যাটের দ্বারস্থ হয়েছিল বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী সংগঠন। প্রথমে মামলাটি শুনতেই অস্বীকার করে স্যাট। এর পরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে ২০১৮ সালে হাইকোর্ট জানায়, ডিএ কর্মীদের অধিকার। রাজ্য সরকারের তরফে তার আগে হাইকোর্টকে বলা হয়েছিল, ডিএ কোনও অধিকার নয়, ডিএ সরকারের ইচ্ছাধীন। কিন্তু হাইকোর্ট স্পষ্ট জানায়, ডিএ কোনও দয়ার দান নয়, ন্যায্য অধিকার। তবে বছরে ক’বার ডিএ দেওয়া হবে, কী হারে দেওয়া হবে, তা নির্ধারণের ভার ফের স্যাটের হাতেই ছেড়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।দীর্ঘ অপেক্ষার শেষে আজ সেই রায়ে জয় হল রাজ্য সরকারি কর্মীদেরই।

রায়ে স্যাট জানিয়েছে–২০০৬ সাল থেকে সর্বভারতীয় মূল্যসূচক অনুয়ায়ী বছরে দু’বার করে ডিএ দিলে যে টাকা কর্মীদের প্রাপ্য হয়, হিসেব করে সেই বকেয়া টাকা এক বছরের মধ্যে অথবা নুতন বেতন কাঠামো ঘোষণার আগেই মিটিয়ে দিতে হবে।  ভিন রাজ্যে কাজ করা রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রের হারে ডিএ দিলেও রাজ্যে দেওয়া হয়নি। এটা বৈষম্যমূলক আচরণ। এখন কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের বেতনের ফারাক ২৯ শতাংশ। এই ফারাক রাখা চলবে না। দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বছরে দু’বার ডিএ বৃদ্ধি সরকারি কর্মচারীদের অধিকার। গোটা দেশের প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী ডিএ-র হার নির্ধারণ করতে হবে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest