করোনা আবহে রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা জরুরি। কেন গত ছ’মাসে একটিও জিএসটি পরিষদের বৈঠক ডাকা হল না? করোনা আবহে রাজ্যগুলি যখন চরম সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, নিদানপক্ষে ভার্চুয়ালি ডাকা যেতে পারত সেই বৈঠক! এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি দিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন সংবিধান লঙ্ঘনের।
চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘করোনা, অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যের একাধিক ক্ষেত্রে সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। সেগুলি নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। আর্থিক ঘাটতি, ক্ষতিপূরণের বিষয়ে আলোচনা জরুরি।’ জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের বিষয়ে এই চিঠিতে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন অমিত মিত্র।
আরও পড়ুন : ছোট পর্দায় ফিরছেন ইন্দ্রাশিস- সঙ্গী মানালি, আসছে ‘ধুলোকণা’
যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোতে জিএসটি কাউন্সিল বৈঠকে অত্যন্ত জরুরি বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি। গত দুটি কোয়ার্টারে কেন্দ্র বৈঠক ডাকেনি। শেষ জিএসটি বৈঠক ডাকা হয় গত অক্টোবর মাসে। সেই তারিখও চিঠিতে উল্লেখ করেন অমিত মিত্র। তার পরে সাত মাস কেটে গিয়েছে। অতিমারির সঙ্কট ছিল ঠিকই। কিন্তু কেন ভিডিয়ো কনফারেন্সেও আলোচনার চেষ্টা করা হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলেন অমিত মিত্র। আগে প্রত্যেক তিন মাস অন্তর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হত। সেটি স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
অমিত তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, সংবিধানের ২৭৯এ এবং ২৭৯এ (৮) অনুচ্ছেদ মেনেই এই বৈঠক ডাকা উচিত। পাশাপাশি, ‘প্রসিডিওর অ্যান্ড কনডাক্ট অব রেগুলেশন অব দ্য গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স কাউন্সিল’-এর ৬ নম্বর অনুচ্ছেদের কথা মেনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে জিএসটি কাউন্সিল পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।অমিত আরও লিখেছেন, ‘‘তিন মাস অন্তর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক না ডাকা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আঘাত করার সমান, এ ব্যাপারে আপনিও নিশ্চয়ই সহমত!’’
অনেকে মনে করছেন, যেভাবে প্রধানমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি লেখার পরই ময়দানে নেমেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এবার তাঁর সেই ১৬টি টুইটে প্রত্যুত্তরেই পাল্টা চিঠি দিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
আরও পড়ুন : গায়ে মা কালী আঁকা জ্যাকেট! প্রিয়াঙ্কার ‘দেশি লুক’ ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু