মাদার টেরেসা ১৯১০ সালের ২৬ আগস্ট অটোম্যান সাম্রাজ্যের ইউস্কুবে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১২ বছর বয়সেই ধর্মীয় সন্ন্যাস জীবন যাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। ১৮ বছর বয়সে গৃহত্যাগ করেন। তিনি ছোট্টো অ্যাগনেস ধর্মপ্রচারকদের জীবন ও কাজকর্মের গল্প শুনতে বড়োই ভালবাসতেন। তিনি ১৯৩১ সালের ২৪ মে সন্ন্যাসিনী হিসেবে প্রথম শপথ গ্রহণ করেন এবং এই সময় তিনি ধর্মপ্রচারকদের পৃষ্ঠপোষক সন্ত–এর নামানুসারে টেরিজা নাম গ্রহণ হয়। তিনি ১৯৭৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন এবং ১৯৮০ সালে ভারতরত্ন ও ২০১৬ সন্তকরণ পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরে মৃত্যুবরন করেন। মহীয়সী নারী মাদার টেরেসার উক্তি ও বাণী নিয়েই আত্মপ্রকাশের আজকের আয়োজন।
“বাইরের জগতে এখনি বেড়িয়ে পড়ো এবং ভালোবাসো প্রত্যেকটি মানুষকে। তোমার উপস্থিতি যেন হাজারো মানব হৃদয়ে নতুন আলোর সঞ্চার জাগায়।“
“যদি তুমি একশো মানুষকে সাহায্য করতে সক্ষম না হও, তাহলে অন্তত একজনকে সাহায্য করো।“
“কারোর নেতৃত্বের অপেক্ষা না করে নিজ থেকেই সকল উদ্যোগ নেয়া উচিত।“
আমি একা এই পৃথিবীকে বদলে দিতে পারবোনা। তবে আমি স্বচ্ছ জলে একটি ছোট পাথরের টুকরো নিক্ষেপ করে বড় বড় জলতরঙ্গ সৃষ্টি করতে পারবো।“
আরও পড়ুন : এক মানবী কতোটা আর কষ্ট দেবে…পড়ুন, বিরহের কবি হেলাল হাফিজের হৃদয়ছোঁয়া উক্তি
“সৃষ্টিকর্তা তোমাদের সফল হওয়ার আদেশ দেননি, শুধুমাত্র সর্বদা অবিরাম চেষ্টা ধরে রাখার আহ্বান করেছেন।“
“প্রত্যেকের প্রতি ভালবাসার শুরুটা হোক হাসির মাধ্যমে। “
আমরা সকলেই শুরুতেই বিশাল কোনো মহৎ কাজ করতে পারবো না। কিন্তু ভালবাসা দিয়ে ছোট ছোট অনেক ভাল কাজ করা সম্ভব।“
“অস্ত্র দিয়ে কখনোই শান্তিকে ঘরে আনা সম্ভব নয়, সম্ভব ভালবাসা ও সহানুভূতির হাত ধরে।“
“সবচেয়ে ভয়াবহ দারিদ্রতা হচ্ছে একাকীত্ব এবং প্রিয়জনের সহানুভূতি না পাওয়ার অনুভূতি।“
আরও পড়ুন : সমাজের বুকে শব্দবন্ধের কঠিন চাবুক…পড়ুন, আলোচিত ও সমালোচিত চিন্তাবিদ আহমদ ছফার উক্তি