২০,০০০ বছর আগেই পূর্ব এশিয়ায় তাণ্ডব চালিয়েছিল করোনা মহামারী!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সম্ভবত ২০,০০০ বছর আগেই তাণ্ডব চালিয়েছিল করোনাভাইরাস মহামারী। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ারের একটি প্রতিবেদনে ওই গবেষকরা দাবি করেছেন, সেই সময় পূর্ব এশিয়ায় মহামারীর ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। আর আধুনিক চিন, জাপান এবং ভিয়েতনামের মানুষের ডিএনএতে এখনও সেই করোনা প্রজাতির ভাইরাসের অস্তিত্ব আছে।

আরও পড়ুন : ১ টাকার কয়েন বেচে কোটিপতি হতে গিয়ে লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন শিক্ষিকা

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, পূর্ব এশিয়া থেকে যে একাধিক করোনাভাইরাস মহামারীর উৎপত্তিহ হয়েছিল, তার স্বপক্ষে একাধিক প্রমাণ মিলেছে। প্রাচীন করোনা প্রজাতির কোনও ভাইরাস বা মানুষের দেহে যেরকম করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে, সেরকমভাবেই ভিন্ন একটি ভাইরাসের জেরে পূর্ব এশিয়ার প্রাচীন মানুষের মধ্যে মহামারী ছড়িয়ে পড়তে পারে। শুধু তাই নয়, গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে প্রাচীনকালের ভাইরাসের বিষয়ে জানতে পারলে বিবর্তনমূলক তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যা আরও ভালোভাবে ভবিষ্যতে মহামারীর পূর্বাভাস দিতে পারে।

কারেন্ট বায়োলজিতে প্রকাশিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়াসিন সুূইলমি এবং রে তোবলারের সেই গবেষণা। তাঁদের দাবি, পূর্ব এশিয়ায় বর্তমানে যে মানুষরা বসবাস করেন, তাঁদের ৪২ টি জিনে করোনাভাইরাস প্রজাতির জিনগত পরিবর্তনের প্রমাণ মিলেছে। সুূইলমি এবং তোবলার জানিয়েছেন, তাঁরা বিশ্বের ২৬ টি জাতির ২,৫০০-এর বেশি জিন নিয়ে বিশেষ ধরনের বিশ্লেষণ করেছেন। তার ভিত্তিতে মানুষের ৪২ টি ভিন্ন জিনে বিশেষ ধরনের প্রোটিনের সংকেত পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা বলেছেন, ‘এই ভাইরাস ইন্টারেকটিং প্রোটিনসের (ভিআইপি) সংকেত পাওয়া গিয়েছে মানুষের মাত্র পাঁচটি জাতির ক্ষেত্রে। তাঁরা সবাই পূর্ব এশিয়ার বাসিন্দা। যা সম্ভবত করোনাভাইরাস প্রজাতির বিচরণের ক্ষেত্র ছিল। সেই তথ্য অনুযায়ী, আধুনিক যুগের পূর্ব এশিয়ার মানুষরা প্রায় ২৫,০০০ বছর আগেই করোনাভাইরাসের দাপটের সম্মুখীন হয়েছিলেন।’

গবেষকদের দাবি, ৪২ টি ভিআইপি মূলত ফুসফুসে প্রভাব ফেলত। যা করোনার দ্বারা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুধু তাই নয়, তাঁরা দাবি করেছেন, ওই ভিআইপিগুলির সঙ্গে যে সরাসরি সার্স-কোভ-২ (SARS-CoV-2) ভাইরাসের যোগ ছিল, সে বিষয়েও নিশ্চিত তাঁরা। যে ভাইরাসের কারণে বর্তমান মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে। পাশাপাশি দুই গবেষক দাবি করেছেন, কয়েকটি ভিআইপির জিন বর্তমানে করোনার চিকিৎসার কাজে ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। বা ক্নিনিকাল ট্রায়ালের অংশ হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা আছে।

আরও পড়ুন : ব্রিটেনকে চোখ রাঙাচ্ছে রাশিয়া, ভূমধ্যসাগরের আকাশে উড়ছে রুশ যুদ্ধবিমান

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest